আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের পাঁচমাস পর চরম পদক্ষেপ ২৬ বছরের তরুণী চিকিৎসকের। নিত্যদিন স্বামীর অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন তরুণী। সাত পাতার সুইসাইড নোটে শুধুই স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করেছে পুলিশ। 

 

মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি শিবাজীনগর শহরে। ওই শহরের একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। গত রবিবার সেই হাসপাতালেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। সুইসাইড নোটে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তরুণী চিকিৎসক লিখেছেন, নিত্যদিন অশান্তি এবং চরিত্র হননের চেষ্টার অপমান সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। 

 

তরুণী চিকিৎসকের বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী রাশিয়া থেকে এমবিবিএস পাশ করেছিলেন। দেশে ফিরে হাসপাতাল খোলার ইচ্ছে ছিল। যার জন্য বিয়ের পর থেকেই তরুণীকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন। সুইসাইড নোটে তরুণী অভিযোগ তুলেছেন, বিয়ের পর রোজ তাঁর ফোন ঘাঁটতেন স্বামী। কার সঙ্গে কতক্ষণ কথা বললেন, সবটা খতিয়ে দেখার পর সন্দেহ করতেন। বারবার তাঁর চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এই অপমান সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। 

 

সুইসাইড নোট উদ্ধারের পর, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করেছে পুলিশ। পণ দেওয়ার জন্য চাপ, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।