আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেবল হাসির জন্য চাকরি চলে যাবে? সম্প্রতি এমনই এক অভিজ্ঞতার কথা জানালেন এক যুবক। রেডিটে এক যুবক তাঁর কর্মক্ষেত্রের এক অস্বাভাবিক ঘটনা ভাগ করে নিয়েছেন সবার সঙ্গে। সামান্য হাসার জন্য তাঁর প্রায় চাকরি খোয়া যাচ্ছিল। আসল ঘটনা কী?
"প্রায় চাকরি চলে গেল হাসার জন্য" শিরোনামে পোস্ট করেন ওই যুবক৷ তিনি জানান, বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন সেদিন। এরপর আচমকা এমন এক পরিস্থিতি তৈরী হয় যার জেরে তাঁকে বরখাস্ত করার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
ওই কর্মী রেডিটে লিখেছেন, তিনি প্রায় দশজনের সঙ্গে একটি সংস্থায় 'ফ্রেশার' হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। নতুন কর্মীদের স্বাগত জানানোর জন্য একটি সেশনে সংস্থার এক 'সিনিয়র' আধিকারিক যোগ দেন। সেশনটি বেশ আড্ডাচ্ছলে চলছিল এবং তাতে নানারকম রসিকতাও চলছিল। অন্যান্যরা যখন হাসছিলেন, তখন ওই যুবকও মুচকি হেসেছিলেন। কিন্তু তাঁর ল্যাপটপটি অদ্ভুতভাবে থাকায় ওই ব্যক্তি মনে করেন যে তিনি শুয়ে আছেন।
এরপর ওই ব্যক্তি রসিকতা করে জিজ্ঞাসা করেন, "তুমি হাসছ কেন?" কিন্তু তারপর আর কোনও মন্তব্য না হওয়ায় তিনি ধরে নেন ঘটনাটি সেখানেই মিটে গিয়েছে।
প্রায় ছ'মাস পর, কর্মী যখন ওই সংস্থা ছেড়ে দেন, তখন তিনি জানতে পারেন যে ওই ব্যক্তি তাঁর সেই হাসিটিকে 'অপমান' বলে মনে করেছিলেন। তাঁদের কথা অনুযায়ী, তিনি যুবককে বরখাস্ত করার সুপারিশ করে একটি দীর্ঘ ই-মেল করেন। এমনকী দেশের বাইরেও ওই সংস্থার বিভিন্ন বিভাগে এই খবর পৌঁছে যায়৷
পরে যুবক জানতে পারেন, তাঁর ম্যানেজার এবং টিম লিড পুরোপুরি তাঁকে সমর্থন করেছেন । বিষয়টি খোলসা করেননি। এর থেকে তাঁকে আড়াল করে রেখেছিলেন। তিনি জানান, "এই ধরণের বিশ্রী অভিজ্ঞতা তাঁর আগে কখনও হয়নি"। শেষমেশ তিনি সংস্থা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর মতে, “সেরা সিদ্ধান্ত” নিয়েছেন তিনি।
ঘটনার জেরে কমেন্ট সেকশন ভরে গিয়েছে। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ভালো করেছেন যে ছেড়ে দিয়েছেন”, অন্য একজন লিখেছেন, “ উনি অত্যন্ত বাড়াবাড়ি করেছেন।”
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, আর এক মন্তব্যকারী নিজের একটি অনুরূপ অভিজ্ঞতার কথা জানান। একবার এক কনসাল্টিং পার্টনারের কাছ থেকে ভদ্রভাবে কেক খেতে অস্বীকার করায় তাঁরও পরিণতি ভালো হয়নি।
