আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, কলকাতায় ১০ গ্রাম ২২ ক্যারাট সোনার দাম ১২, ১৭০০ টাকা। ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট সোনার দাম  ১৩,২৭৭০। দেশের অন্যান্য শহরেও দাম কম বেশি এমনটাই। দীপাবলির আগে তরতরিয়ে সোনার দাম বাড়ায়, স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এই দীপাবলির আগেই, আগামী বছরের দীপাবলিতে সোনার বাজার দর কেমন থাকতে পারে, তার সম্ভাব্য তথ্য জানিয়েছেন। আর তাতেই মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। 

তবে, মধ্যবিত্তের মাথায় হাত পড়লেও, বিনিয়োগকারীদের জন্য বিষয়টি লাভের। কারণ সোনার বিনিয়োগকারীরা, ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির বাজারে লাভবান হবেন ব্যাপকহারে, তেমনটাই মত বাজার-বিশ্লেষকদের। এই বিষয়ে চর্চার আরও একটি কারণ, অ্যাক্সিস সিকিউরিটিজ-এর রিপোর্ট। এই সংস্থা তাদের ধনতেরাস ২০২৫ গোল্ড রিপোর্টে, ব্যবসায়ী এবং দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের প্রতি ১০ গ্রামের দাম ১.০৫-১.১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে থাকার সময়েই সোনা সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়েছে। কারণ, তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী তথ্য, আগামী দীপাবলির মধ্যে দাম বেড়ে হতে চলেছে ১.৪৫-১.৫০ লক্ষ টাকা।

আরও পড়ুন: রাজস্থানে খুন করে গা ঢাকা দিয়ে কলকাতায়! ছাদে-কার্নিসে লুকোচুরি খেলে পুলিশের হাতে আটক গুজরাটের তিন দুষ্কৃতি

কেন লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম? পিছনে কারণ একাধিক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নীতি থেকে শুরু করে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, সোনার দাম বাড়াচ্ছে অহরহ। চলতি বছরেই, যে হারে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম, অ্যাক্সিস-এর রিপোর্ট, ২০২৬ সালেও এভাবেই বাড়বে সোনার বাজার দর। ফলে সোনা ছোঁয়া সাধারণের জন্য আরও কঠিন হতে চলেছে।

কিন্তু কেন ক্রমাগত বাড়বে সোনার বাজার-দর?


অ্যাক্সিস সিকিউরিটিজ পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছে, যেগুলির কারণে আগামী বছর সোনার দাম বৃদ্ধি পেতে পারে-

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল্য হ্রাস-কম উৎপাদন।

কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সঞ্চয় পরিমাণ। 

ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা- বাণিজ্য শুল্ক থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী সংঘাত। 

ডলার তুলনায় দুর্বল হওয়ায় এবং উচ্চ মার্কিন ঋণ। 

ইটিএফের চাহিদা বৃদ্ধি।

বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি এবং ইকুইটি ফান্ডের ক্রমাগত ক্রয়, ফিয়াট মুদ্রার প্রতি ভরসা কমে আসা এবং সুদের হার হ্রাস সোনার দাম কমতে দেয়নি। 

আরও পড়ুন: বিহার নির্বাচনে লালু-তেজস্বীর হয়ে মাঠে নামছেন মনোজ বাজপেয়ী? ভাইরাল ভিডিও নিয়ে কী বললেন অভিনেতা?

অ্যাক্সিস সিকিউরিটিজ বিনিয়োগকারীদের বাই-অন-ডিপ পদ্ধতি মেনে চলার সুপারিশ করেছে। 

পরামর্শ-প্রতি ১০ গ্রাম সোনা ১.০৫-১.১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে থাকা অবস্থায় ক্রয় করতে, ২০২৬ সালের দীপাবলির মধ্যে ১.৪৫-১.৫০ লক্ষ টাকার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছবে। বিনিয়োগকারীদের জন্য, সোনা মুদ্রাস্ফীতির হেজ এবং পোর্টফোলিও স্থিতিশীলকারী উভয়ই থাকে। যারা স্টোরেজ ঝামেলা ছাড়াই এক্সপোজার খুঁজছেন তারা পিওরিটি বা লিকুইডিটি রিস্ক ছাড়াই দীর্ঘমেয়াদী মূল্য ক্যাপচার করার জন্য গোল্ড ইটিএফ বা সোভেরিন গোল্ড বন্ড (এসজিবি) বেছে নিতে পারেন। রিপোর্টের তথ্য, ভারতীয় পরিবারগুলিতে ইতিমধ্যেই ৩ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের ব্যক্তিগত সোনার রিজার্ভ রয়েছে — যা বিশ্বের তালিকায় প্রথম।