আজকাল ওয়েবডেস্ক: তীব্র ক্ষোভ, বিতর্কের কেন্দ্রে মররগির নাম! তাই নিয়েই তর্জা, মিছিল। শেষপর্যন্ত মুখ খুলতে হয়েছে যুগ্ম কালেক্টরকে। মধ্যপ্রদেশের হরদা জেলার ঘটনা।
একটি বেসরকারি পশুচিকিৎসা কলেজের বিজ্ঞাপনে মুরগির নাম দেখানো নিয়ে আপত্তি উঠেছে। বিজ্ঞাপনে মুরগিটিকে 'নর্মদা' বলা হয়েছে। যা নিয়েই আপত্তি নর্মদা ব্রাহ্মণ সমাজের। সংগঠনের দাবি,ধর্ম অনুসারে নর্মদা নদী জীবনদাতা মা তাই তার নামে মুরগির নামকরণ করা একেবারেই ঠিক নয়।
নর্মদা ব্রাহ্মণ সমাজের সভাপতি অশোক পরাশর গোষ্ঠীর দাবি, "বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ কলেজের বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছেন। মা নর্মদা আমাদের সকলের বিশ্বাসের প্রতীক। তিনি কেবল একটি নদী নন, তিনি আমাদের সকলের জীবনদাতা। তার নামে মুরগির নামকরণ করা যথাযথ নয়। বিজ্ঞাপন থেকে অবিলম্বে নামটি সরিয়ে দিতে হবে।"
ইতিমধ্যেই প্রতিবাদী ওই সংগঠনের তরফে জেলার যুগ্ম কালেক্টরের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। পরাশরের নেতৃত্বে শহরের লোকেরা নাম পরিবর্তনের দাবিতে কালেক্টরেটের দিকে মিছিল করে এবং যুগ্ম কালেক্টরের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়।
হরদা জেলার কালেক্টর সঞ্জীব নাগু বলেছেন, "মুরগির নামের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
বিজ্ঞাপনের উপর ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায়, কলেজ পরিচালক রাজীব খারে জানিয়েছেন যে, কলেজ মুরগির নামকরণ করেনি। প্রশ্নবিদ্ধ বিজ্ঞাপনটি বিভিন্ন মুরগি বিক্রির জন্য ছিল। খারে বলেন, জবলপুরের পোল্ট্রি সেন্টার, যেখান থেকে মুরগিগুলি কেনা হয়েছিল, তাদের নামকরণ করা হয়েছিল নর্মদা, কাদাকনাথ এবং সোনালী।
পরাশরের নেতৃত্বে শহরের লোকেরা নাম পরিবর্তনের দাবিতে কালেক্টরেটের দিকে মিছিল করে এবং যুগ্ম কালেক্টরের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়।
[আরও পড়ুন- লস্করের শাখা সংগঠনকে 'সন্ত্রাসবাদী' তকমা, আমেরিকার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল ভারত]
