আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও হামলা, নিরপারাধ মানুষের মৃত্যু-হাহাকার। ভারত প্রথম থেকেই দাবি করেছিল, এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরাই। প্রবল প্রত্যাঘাতে মধ্যরাতে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। কী অবস্থা হয়েছিল জঙ্গিঘাঁটিগুলির? স্যাটেলাইট ছবিতে ধরা পড়েছে সবটা, তেমনটাই খবর সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
কী দেখা গিয়েছে স্যাটেলাইট ছবিতে? দেখা গিয়েছে, গত মাসে অপারেশন সিন্দুরের সময় পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) দুটি প্রধান সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবিরের উপর ভারতীয় হামলার প্রভাব। ছবিগুলি দুটি শিবিরের, কাশ্মীরের তাংধর থেকে ৩৬ কিলোমিটার পশ্চিমে মুজাফফরাবাদের সৈয়দনা বিলাল শিবির এবং জম্মুর রাজৌরি থেকে ৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত কোটলি গুলপুর শিবির।
৭ মে ভোরে ভারত যখন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পর, ওই দুই শিবির ভেঙে টুকরো টুকরো হয়েছে।
এর আগেই সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নজরদারি এবং আক্রমণ এড়াতে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর ঘন বনাঞ্চলে ছোট এবং উচ্চ প্রযুক্তির সন্ত্রাসী স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে।
উন্নত প্রযুক্তিতে সজ্জিত এসব ক্যাম্প তাপ, রাডার ও স্যাটেলাইট চিহ্ন এড়াতে সক্ষম। ঘাঁটিগুলিকে ভাগ করে রাখা হচ্ছে—প্রতিটি ক্যাম্পে ২০০-র কম জঙ্গি। নিরাপত্তায় থাকছে পাকিস্তান সেনার বিশেষ বাহিনী। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বাহাওয়ালপুরে এক গোপন বৈঠকে মিলিত হয় জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবা, হিজবুল মুজাহিদিন ও ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর শীর্ষ নেতারা।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাসে অপারেশন সিন্দুরের অধীনে ভারতের সামরিক হামলায় ধ্বংস হওয়া সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাড এবং প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি পাকিস্তান পুনর্নির্মাণ শুরু করেছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এবং সরকারের সহায়তাতেই তৈরি হচ্ছে সেগুলি।
কোথায় তৈরি হচ্ছে? জানা যাচ্ছে, মূলত পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) এবং সংলগ্ন অঞ্চলে সন্ত্রাসী অবকাঠামোর এই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলি পুনর্নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
