আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের মাস কয়েক পরে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী। তারপর দীর্ঘদিন কোনও যোগাযোগ রাখেননি। এদিকে স্ত্রীর ফিরে আসার অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন স্বামী। অবশেষে একদিন ফোন করে ভালবেসে তিনটি শব্দ বলেছিলেন। যার উত্তর শুনেই জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন। ঠিক কী ঘটেছিল? 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গতবছর মার্চ মাসে রাখির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নবীন। রাখিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মনিকা নামের এক মহিলা। নবীনকে রাখির ছবি দেখাতেই পছন্দ হয়েছিল তাঁর। অত্যন্ত সুন্দরী তিনি। এদিকে মনিকা বলেছিলেন, রাখি ভার্জিন। আগে কখনও যৌনতায় লিপ্ত হননি। বিয়ে ঠিক করার জন্য নবীনের থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন মনিকা। বিয়ের পর চার থেকে পাঁচ মাস শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন রাখি। তারপরেই বাপের বাড়িতে চলে যান। 

 

প্রথমে যোগাযোগ রাখলেও, পাঁচমাস নবীনের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি রাখি। একাধিকবার ফোন করেছিলেন তিনি। পরে ফোন নম্বর ব্লক পর্যন্ত করে দেওয়া হয়। তারপর একদিন ফোন করে জিজ্ঞেস করেন, রাখি বাড়ি কবে ফিরবেন? তখনই জানতে পারেন আসল সত্যি। 

 

নবীন পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছেন, রাখি আদতেই 'লুটেরি দুলহান'। মনিকা বিয়ের আগে চার লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। রাখি শ্বশুরবাড়ি থেকে যাওয়ার সময় প্রায় ৫০ হাজার টাকা, সোনা-রুপোর গয়না নিয়ে চলে যান। পরে জানতে পারেন রাখি আগেই বিবাহিত ছিলেন। তাঁর থেকে টাকা, গয়না নিয়ে দু'জনে চম্পট দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন তিনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন।