আজকাল ওয়েবডেস্ক: মানুষ প্রথমে মাংস খেতে পারত না। আরও ভাল করে বলা চলে তারা মাংস খেতে আগ্রহী ছিল না। তারা দেখত অন্য প্রাণীরা তৃণভোজী। ফলে সেখান থেকে তারাও গাছের ফল, ঘাসপাতা খেয়ে বেঁচে থাকত। তবে এরপরই তাদের জীবনে এল নতুন এক বিপ্লব।
মানুষ দেখত যারা জঙ্গলের শক্তিশালী প্রাণী তারা অতি সহজেই মাংস খেয়ে নিত। এই কাজ তারা করত অন্য প্রাণীরা হত্যা করে। সেখান থেকে তারা সরাসরি সেই মাংস খেয়ে নিয়ে নিজেদের দেহে শক্তি সঞ্চয় করত। এরপর থেকেই মানুষ ভাবতে শুরু করে তারা যদি মাংস খেতে শুরু করে তাহলে তারা তাদের থেকেও বেশি শক্তিশালী হয়ে যাবে।
এই ধারণার পর থেকেই মানুষ প্রথমে ছোটো প্রাণীদের শিকার করতে শুরু করে। তাদের মাংস খাওয়ার সময় তাদের মুখে অন্য ধরণের স্বাদ আসে। এই স্বাদকে তারা হারাতে চাইছিল না। ফলে তারা সেখান থেকে পরবর্তীকালে আরও বড় প্রাণীদের হত্যা করার দিকে এগিয়ে গেল।
মানুষ বুঝতে পারল তারা যদি মাংস বেশি করে খেতে শুরু করে তাহলে তাদের দেহে অনেক বেশি শক্তি আসবে। সেখানে তারা অন্য ধরণের খাদ্যকে ধীরে ধীরে বর্জন করতে শুরু করে। এরপর একটা সময় আসে যখন মানুষ শুধু মাংস খেয়েই নিজের জীবন কাটাত। তবে তারফলে প্রচুর প্রাণীকে তারা হত্যা করে।
বেশি করে মাংস খাওয়ার ফলে মানুষের ডিএনএ-তে বিরাট পরিবর্তন হতে শুরু করল। মানুষের দেহের শক্তি আরও বাড়তে শুরু করল। ফলে সেখানে তাদের দেহের গঠনেও বিরাট পরিবর্তন হল। ফলে এরপর থেকেই মানুষ মাংস খাওয়ার দিকে অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে গেল।
মানুষ মাংসের প্রতি যতটা আগ্রহী হল ততই তারা অন্য খাবারকে পিছনে ফেলে দিল। সেই থেকে মানুষ মাংসকে তাদের খাবারের অন্যতম অংশ করে নিল। সেখান থেকে তারা অন্য খাবারকে পিছনে ফেলে দিয়ে মাংসের নানা ধরণের পদ তৈরি করতে শুরু করল। এভাবেই মানুষের জীবনে মাংসের প্রভাব শুরু হয়ে গেল যা এখন পর্যন্ত চলছে।
