আজকাল ওয়েবডেস্ক: যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকে নথিভুক্ত না করার জন্য ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন নিষিদ্ধ করে নেপাল। তালিকায় ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, এক্স (পূর্বে টুইটার), হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইউটিউব, স্ন্যাপচ্যাট, লিংকডইন, রেডডিট, ডিসকর্ড, পিন্টারেস্ট, কোওরা, টাম্বলার, ডিসকর্ড এবং আরও বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন ছিল।

নিয়ম মেনে না চলার জন্য দেশটি এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি নিষিদ্ধ করেছিল। তবে হিমালয়ের কোলের রাষ্ট্রই শুধু নয়, নেপালের আগেও কয়েকটি দেশ এই প্ল্যাটফর্মগুলি নিষিদ্ধ করেছিল। কোন কোন দেশ? এই প্রতিবেদনে সেই নিয়েই আলোকপাত করা হবে।

১. মায়ানমার
২০২১ সালে, ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। সেই সময়ে মায়ানমার সরকার ফেসবুকক সাময়িকভাবে ব্লক করার নির্দেশ দেয়। মূল উদ্বেগ ছিল ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া। কড়া নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং ইন্ডটাগ্রামে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছিল বলে দাবি সরকারের।

২. ইরান
২০০৯ সালের পর প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের আলোচিত নির্বাচনী কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজনের প্রতিবাদের পর ইরান ফেসবুক এবং টুইটার নিষিদ্ধ করে। তারপর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত, ব্যাপক বিক্ষোভের তথ্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য ইনস্টাগ্রামকে ব্যবহার করা হচ্ছিল। পরেও সেটিও  নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

৩. চীন
চীন সরকার ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং ফেসবুক নিষিদ্ধ করেছে। ২০০৯ সালে ফেসবুককে বিক্ষোভের হাতিয়ার হিসাবে তুলে ধরা হয়। সেই অপব্যবহারের কারণে ফেসবুক ব্লক করা হয়েছিল। টুইটারও তখন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আমব্রেলা আন্দোলনের সময় ইনস্টাগ্রাম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে, চীন তার নিজস্ব দেশ-ভিত্তিক অ্যাপ বিকল্প একটি অ্যাপ্লিকেশন ইকোসিস্টেম তৈরি করেছিল।

৪. উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়ায়, শুরু থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। দেশটির সরকার ইন্টারনেট, সংবাদপত্র, টিভি এবং অ্যাপের মতো বিদেশি মিডিয়ার সমস্ত মাধ্যম ব্লক করে সম্পূর্ণ একচেটিয়া অধিকার চেয়েছিল।

৫. সিরিয়া
সিরিয়ার কর্তৃত্ববাদী শাসন, ইন্টারনেট সেন্সরশিপ এবং গৃহযুদ্ধের কারণে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক এবং টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। ২০১১ সালে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, যা পরে অল্প সময়ের জন্য তুলে নেওয়া হয়েছিল। তবে, শীঘ্রই এটি পুনরায় আরোপ করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন- হইহই কাণ্ড, ৪০ বছরে এই প্রথম কোনও প্রাপ্তবয়স্ক যুবরাজ পেল জাপানের রাজ পরিবার! তিনিই শেষ সম্রাট?