আজকাল ওয়েবডেস্ক : মানবজাতির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে সাম্প্রতিক জিনগত গবেষণা। এতদিন ধারণা করা হতো, প্রাচীন মানব প্রজাতি নেয়ান্ডারথাল প্রায় ৪০,০০০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নতুন ডিএনএ প্রমাণ জানাচ্ছে, নেয়ান্ডারথালরা আদতে কখনো পুরোপুরি হারিয়ে যায়নি।

 

গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরোপ ও এশিয়ার মানুষের জিনে এখনও নেয়ান্ডারথালের উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিদ্যমান। এই ডিএনএ বিশ্লেষণ থেকে প্রমাণিত হয় যে, প্রাচীন নেয়ান্ডারথালরা আধুনিক মানবের সঙ্গে ব্যাপকহারে আন্তঃপ্রজনন করেছিল। ফলে তাদের জিনগত উত্তরাধিকার আজও মানবদেহে বহন করা হচ্ছে।

 

নেয়ান্ডারথালের এই জিনগত বৈশিষ্ট্যগুলি আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলছে, যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শারীরিক বৈশিষ্ট্য। এই গবেষণা প্রমাণ করছে, নেয়ান্ডারথালরা একটি হারিয়ে যাওয়া প্রজাতি নয় বরং আমাদের বিবর্তনীয় যাত্রার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

 

এটি মানব ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে নতুন করে গড়ে তুলছে, যেখানে নেয়ান্ডারথালদের সঙ্গে সহাবস্থান এবং জিনগত বিনিময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

 

এই গবেষণা থেকে যে তথ্য উঠে এসেছে সেখানে এটাই প্রমাণিত হয় যে হারিয়ে যাওয়া এই মানব সভ্যতা এখনও পৃথিবীতে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। যারা এতদিন ধরে মনে করেছে এরা পৃথিবী থেকে হারিয়ে গিয়েছে তারা ভুল করেছে। এদের বর্তমান পুরুষ এখনও রয়েছে। 

 

বিবর্তন এই পৃথিবী বারে বারে করেছে তার সঙ্গে এই সভ্যতা নিজেকে ধরে রেখেছে। তারা তাদের জিনগত বৈশিষ্ট নিয়ে তাদের বর্তমান পুরুষের মধ্যে বেঁচে রয়েছে। তাই হারিয়ে যাওয়া থেকে তারা নিজেদের ধরে রেখেছে।