আজকাল ওয়েবডেস্ক: এয়ার স্ট্রাইক করে এবার তালিবান প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় পাকিস্তান সরকার। এক বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানানো হল পাকিস্তান বিদেশমন্ত্রকের তরফে।
ওই বিবৃতি মারফত জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল শনিবার দোহায় আফগানিস্তানের তালিবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
এই বৈঠকে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানের অভিমুখে চলা সীমান্তপারের সন্ত্রাস বন্ধে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ এবং পাক-আফগান সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনা হবে। আফগানিস্তানে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে পাকিস্তান।
এই ঘটনায় ফের আন্তর্জাতিক রাজনীতি তোলপাড়। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বর্বর হামলায় মৃত্যু হয়েছে তিন উঠতি আফগান ক্রিকেটারের। যার প্রতিবাদে পাকিস্তানের আসন্ন ট্রাই-সিরিজ থেকে নাম তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান।
শুক্রবার রাতে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে আকাশপথে হামলা চালানো হয়। তাতেই একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আফগান ক্রিকেট বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকতিকা প্রদেশের উরগুন জেলার ক্রিকেটারদের উপর কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। তাঁরা শহিদ হয়েছেন। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই ঘটনায় গভীর ভাবে শোকাহত। উরগুন জেলার তিন ক্রিকেটার এবং আরও পাঁচ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সাত জন জখম। এই ক্রিকেটাররা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে এর আগে পাকতিকার রাজধানী শারানায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে উরগুনে ফেরার পরেই তাঁদের নিশানা করা হয়।’
বোর্ডের তরফে আরও বলা হয়েছে, ‘আফগানিস্তানের ক্রীড়াজগতে এটা অপূরণীয় ক্ষতি। ওঁদের পরিবারের প্রতি এবং পাকতিকার মানুষের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী নভেম্বরে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজে খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের, তাতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগান বোর্ড।’
নিহত তিন ক্রিকেটারের নাম কবীর, হারুন ও সিবঘাতুল্লা। তালিবান প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, এই হামলার যোগ্য জবাব দেবে কাবুল। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, পাকিস্তান কোনও ধরনের উত্তেজনা বাড়াতে চায় না।
তবে আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসনকে আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি দেওয়া তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করতে এবং পাকিস্তানের ন্যায্য নিরাপত্তা উদ্বেগ দূর করতে আহ্বান জানাচ্ছে।
এর অংশ হিসেবে পাকিস্তান চায় তালিবান সরকার যেন যাচাইযোগ্য পদক্ষেপ নেয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে, বিশেষ করে এফএকেএ/টিটিপি ও এফএইচ/বিএলএর মতো গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে কাতারের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে এই শান্তিপূর্ণ আলোচনা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এমনটাই মনে করছে পাকিস্তান।
