আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বের নানা প্রান্তের গবাদি পশু খামার বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করে। তবে, এমন একটি খামার রয়েছে যা সমস্ত দিক থেকেই আলাদা। এখানকার আয়তন, জনসংখ্যা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে কর্মীদের সংখ্যা তাক লাগাবে। অস্ট্রেলিয়ার এই গবাদি পশু খামারটি ৪৯টি দেশের আয়তনের চেয়ে বড়। ফলে এই গবাদি পশু খামারটি নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি পড়েছে।
অস্ট্ররেলিয়ার গবাদি পশু খামারটি ১৫,৭৪৬ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত। এটিকে দুনিয়ার বৃহত্তম ব্যক্তিগত সম্পত্তিগুলির মধ্যে একটি। বলা যেতে পারে, খামারটি নেদারল্যান্ডসের চেয়েও লম্বা, ওয়েলসের মতো প্রশস্ত এবং ইজরায়েলের চেয়েও বড়। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল, অনেক দেশের চেয়েও বড় আতন ও বেশি জায়গা জুড়ে থাকা সত্ত্বেও, খামারে মাত্র ১১ জন লোক কাজ করেন। এটি দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত আনা ক্রিক স্টেশন।
এর চিত্তাকর্ষক আকার সত্ত্বেও, আনা ক্রিকের পরিবেশ খুবই রুক্ষ। আনা ক্রিক স্টেশনে প্রতি বছর মাত্র ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। গ্রীষ্মের মাসগুলিতে তাপমাত্রা ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ফলে এই খামারে ঘাসের বৃদ্ধি কম, যার অর্থ হল ১৭,০০০-এর বেশি গবাদি পশুর ভরণপোষণের জন্য বাইরে থেকে সহযোগি নানা কাজ করতে হয়।
কর্মীদের মধ্যে একজন ম্যানেজার, আটজন স্টেশন কর্মী, একজন প্ল্যান্ট অপারেটর এবং একজন রাঁধুনি রয়েছেন। কর্মী সংখ্য়া কম হলেও আনা ক্রিক প্রযুক্তির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। গবাদি পশুদের সনাক্ত করার জন্য জল পাম্প এবং নীচু উড়ন্ত বিমান ব্যবহার করে। প্রাণীগুলি দেখা গেলে, স্টেশনের মোটরবাইকগুলি তাদের ঘিরে ফেলে।
