আজকাল ওয়েবডেস্কঃ আমন্ড বা কাঠবাদামের কথা তো সকলেই জানেন। স্বাস্থ্যের উপকারের ক্ষেত্রে এর কথাও অজানা নয়। নিয়মিত আমন্ড খেলে নানা ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। কিন্তু ত্বকের বহু সমস্যারও যে সমাধান হতে পারে এটি দিয়ে, জানুন কীভাবে ব্যবহার করবেন।

আমন্ড তেলে রয়েছে ভিটামিন এ, ই। এর সঙ্গে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও জিঙ্ক। এর সব ক’টিই ত্বকের জন্য ভালো। এই তেলের ব্যবহার চোখের তলার ডার্ক সার্কল বা কালো ছোপ কমে যেতে পারে। এটি ওই ধরনের দাগ মুছে ফেলতে পারে। বাদাম তেলে থাকা জিঙ্ক মুখের দাগ কমাতেও সাহায্য করে। অনেকের মুখে ছোট ছোট দাগ হয়। সেগুলি মুছে ফেলা যায় এই তেলের মালিশে। শীতে অনেকেরই ত্বক শুকিয়ে গিয়ে জেল্লা চলে যায়। এই সময়ে আমন্ড তেলের মালিশ হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। 

ঘুমোতে যাওয়ার সময় মুখে বাদাম তেল লাগান। এটা দিয়ে ধীরে ধীরে মুখে ম্যাসাজ করুন। এতে মুখের রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে। মেকাপ তুলতে বাদামের তেল ব্যবহার করতে পারেন। শীতকালে মুখ থেকে মেকাপ তুলে ফেললেই ত্বক শুষ্ক দেখায়। ফলে মেকাপ তোলার পর বাদামের তেল লাগান, এতে ত্বক মসৃণ ও সুস্থ থাকবে। ফেস মাস্ক হিসেবেও বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য একটি পাত্রে কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল দিয়ে তাতে সামান্য মধু ও এক চিমটি হলুদ মেশান। এই তিনটি মিশিয়ে ফেসপ্যাকের মতো মুখে লাগান। এটি আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং আপনার ত্বক খুব সুন্দর দেখাতে শুরু করবে। বাদাম তেল ব্যবহার করলে মুখের দাগ উঠে যায়। দীর্ঘদিন ধরে ব্রণর সমস্যা থাকলে বাদাম তেল সেটা দূর করতে সহায়ক। এই তেলে উপস্থিত অ্যাসিড মুখের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয়। ফলে ব্রণ নিরাময় করে। এছাড়া বাদাম তেলে পাওয়া ভিটামিন-ই আমাদের ত্বককে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। 

বাদাম থেকে বিভিন্ন উপকারী উপাদানে ভরপুর। এই তেলে থাকে ভিটামিন এ, ই, ডি। পাশাপাশি পটাশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে ভরপুর মাত্রায়। এই সকল গুণগুলির জন্য আমন্ড অয়েল শরীরের পক্ষে ভীষণই উপকারী।