আজকাল ওয়েব ডেস্ক: স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ খাবারের পাতে স্যালাড রাখতে পছন্দ করেন। পেঁয়াজ,শশা, লেটুস পাতা ও গাজর, স্যালাড মানেই আমাদের মাথায় এই কয়েকটি জিনিসের নামই আসে।
মরসুমি ফল-আনাজের স্যালাড খাওয়া সব সময়েই ভাল। এতে শরীর যেমন পুষ্টি পায়, তেমন নানা রঙে ভরা সেই খাদ্য মনও ভাল করে। সামনেই শীত আসছে।গাজর ও বীটের সমারোহ প্রত্যেকের পাতে।তাই স্যালাডের একঘেয়েমি কাটাতে একটু রঙিন স্যালাড বানিয়ে খেয়ে দেখুন।পেটের সঙ্গে মনের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।
একটি গোটা শশাকে খোসা সমেত কুরিয়ে আলাদা পাত্রে সরিয়ে রাখুন।গোটা বীটকে কুরিয়ে নিন।কুরোনো শশাকে বীটের মধ্যে দিয়ে সঙ্গে এক বাটি ভাল করে ফেটানো টকদই দিন।স্বাদমতো বিটনুন দেবেন। উপরে একটি ছোট্ট লেটুস পাতা দিন।সমস্ত উপকরণ মেখে নিয়ে খাবার আধঘন্টা আগে ফ্রিজে রাখুন।
তবে খাবারের সঙ্গে স্যালাড খাওয়ার পরিবর্তে খেতে বসার কিছু সময় আগে স্যালাড খেয়ে নেওয়া উচিত। এতে খিদে কমে যায় এবং খাবারের পরিমাণ শরীরে কম যায়।খাবার আগে স্যালাড খাওয়া ভীষণ স্বাস্থ্যকর। কারণ স্যালাডে ক্যালরির মাত্রা কম থাকে, অথচ ফাইবার থাকে ভরপুর মাত্রায়।তাই সহজেই পেট ভরে যায়। ভাত কিংবা ফ্যাটজাতীয় কোনও খাবার খুব বেশি খেতে ইচ্ছে করে না।’’
লাল রঙের এই সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের স্যালাড পুষ্টিগুণে ভরপুর।বিটের মধ্যে রয়েছে বিটানিন। এর কারণেই লাল রং। বিটানিন এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও বটে! ফলে শরীরের পক্ষে যথেষ্ট উপকারী।শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করার জন্য বিট খুব কার্যকর। বিট রক্তে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়।এই স্যালাড আপনার চুলের ঔজ্জ্বল্যকেও বাড়িয়ে দেয়।
মনে রাখবেন ,বাজার চলতি ড্রেসিং স্যালাডে যত মিশবে, স্যালাডের উপকারিতা ততই কমে যাবে।মরসুমি সব ধরনের সবজি দিয়ে স্যালাড তৈরি করলেই আসল উপকার মিলবে।
