আজকাল ওয়েব ডেস্ক: ব্যস্ততার এই সময় স্ট্রেস ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য বাইরের খাওয়া, অপরিমিত ঘুম ও শারীরিক কসরত করার মত সময় না থাকায় শরীরে থরে থরে মেদ জমতে থাকে। যার বেশিরভাগই জড়ো হয় আপনার পেটে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, স্ট্রেস থেকে শুধু মেদ নয়, হতে পারে ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরলও। সব মিলিয়ে যা আপনার জীবনকে নানা ধরণের রোগভোগে জর্জরিত করে তুলতে পারে। তাই সময় থাকতে সাবধান হওয়া প্রয়োজন। 

মেদ কমাতে নিয়ম মেনে যেমন ব্যায়াম প্রয়োজন, তেমনই ডায়েটেও নজর দেওয়া দরকার। তাই পুষ্টিবিদরা রোজকার ডায়েটে চিয়া বীজ রাখার পরামর্শ দেন। কারণ ডায়টারি ফাইবারে পরিপূর্ণ এই চিয়া বীজ খেলে হজম ক্ষমতা বেড়ে যায় সহজেই। প্রাকৃতিক উপাদানটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। ক্যালোরিও কম থাকে এই বীজে। তাই এই বীজ দিয়ে তৈরি পানীয় রোজ ব্রেকফাস্টের আগে এক গ্লাস খেলে উপকার পাবেন দ্বিগুণ।

এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে এক চামচ চিয়া সিড ১০মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এক চামচ মধু ও অর্ধেক লেবুর রস দিয়ে দিন। সমস্ত মিশ্রণটি মিশিয়ে ব্রেকফাস্টের আগে খেয়ে নিন।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ চিয়া সিড ওজন কমাতে সহায়ক। এই পানীয় রোজ খাওয়ার অভ্যাসে আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টকে ভাল রাখতেও সাহায্য করবে। কার্ডিওভাস্কুলারকে শক্তিশালী করে। খারাপ কোলেস্টেরলের পাশাপাশি ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতেও সহায়ক চিয়া সিড। লিপিড প্রোফাইলের ভারসাম্য বজায় থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। ওজন, কোলেস্টেরল যদি বশে থাকে তবে আপনার শরীরে থাকবে না কোন বাড়তি মেদ এবং নানা ক্ষতিকর রোগ থেকেও আপনি শতহস্ত দূরে থাকবেন।

 চিয়া বীজ খাওয়া রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে, বিশেষ করে টাইপ 2 ডায়াবেটিস। এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট হজম এবং শোষণ কমিয়ে দেয়, যা খাবার পর রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে।