আজকাল ওয়েবডেস্কঃ অনেকেই আছেন যারা একেবারেই জল পান করতে চান না। বিশেষ করে এই শীতে। ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীরে বয়সের ছাপ জলদি পড়ে। এমনকী, জলদি মৃত্যুও কড়া নাড়তে পারে। সঙ্গে যারা রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করেন তাঁরা অনেক বেশি দিন বাঁচেন ও তরতাজা থাকেন। এমনকী হার্ট বা ফুলফুসের সমস্যাও তাঁদের অনেক কম হয়। পর্যাপ্ত জল পান না করলে শরীরে জলশূন্যতা তৈরি হয়। এর ফলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় এবং শারীরিক কার্যকারিতা ব্যাহত হয়। শরীরে জলশূন্যতা হলে হজমের সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী ডিহাইড্রেশন গ্যাস্ট্রাইটিস এবং আলসারের মতো আরও গুরুতর হজম সংক্রান্ত সমস্যা বাড়তে পারে। জলশূন্যতার ফলে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যায়। এ জন্য শরীরে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ ব্যাহত হয়। এর কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। অতিরিক্ত ডিহাইড্রেশন হলে শারীরিক পরিশ্রমের সময় পেশি ক্র্যাম্প, ক্লান্তি বাড়ে।
বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে তৃষ্ণার অনুভূতি কম থাকে। ফলে সারাদিনে জল খাওয়ার পরিমাণও অনেক কমে যায়। ফলে শরীরে পর্যাপ্ত জলের ঘাটতি হয়। এই কারণে নানা শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়। তাই শীতের দিনেও ঠিক কতটা পরিমাণ জল খাওয়া প্রয়োজন, তা জেনে রাখা ভাল। জল খুব কম খান তাঁদের কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কাও বাড়ে। সেই সঙ্গে মূত্রনালিতে সংক্রমণও হতে পারে। শীতের সময়ে নানা রকম অ্যালার্জিজনিত অসুখ বেড়ে যায়, যার অন্যতম বড় কারণই হল জল কম খাওয়া। ত্বক ও চুলেও এর প্রভাব পড়ে। কম জল খেলে ত্বক আরও বেশি শুকিয়ে যায়, চুলও রুক্ষ হতে শুরু করে। জল খুব কম খান তাঁদের কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কাও বাড়ে। সেই সঙ্গে মূত্রনালিতে সংক্রমণও হতে পারে। শীতের সময়ে নানা রকম অ্যালার্জিজনিত অসুখ বেড়ে যায়, যার অন্যতম বড় কারণই হল জল কম খাওয়া। ত্বক ও চুলেও এর প্রভাব পড়ে। কম জল খেলে ত্বক আরও বেশি শুকিয়ে যায়, চুলও রুক্ষ হতে শুরু করে। জল শরীর সতেজ রাখে। জল কম খেলে শরীরের ভিতরে ‘টক্সিন’ জমতে শুরু করে। তার ফলে টানা অম্বলের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। জল কম পেলে শরীরের ভিতরের অ্যাসিড বেশি হয়ে যেতে পারে। তার ফলে টানা অম্বলের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।
