আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ চা থেকে রান্নার বিভিন্ন পদে চামচ ভরে চিনি দেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। রান্না শেষে খানিক চিনি না ছড়িয়ে দিলে সম্পূর্ণ হয় না মনে হয়। কিন্তু চিনি অনেক শারীরিক সমস্যার জন্ম দেয়। চিনি খাওয়া থেকে দূরে থাকলে সুস্থ থাকাও সহজ হয় অনেক। ত্বকও ভাল থাকে। চিনির সঙ্গে ত্বকের শত্রুতা আছে, তাই চিনি ত্বকেরও ক্ষতি করে। অকালবার্ধক্যের কারণও বটে। আসলে সাদা চিনি তৈরি করা হয় আখের রস থেকে। শরীরের জন্য আখের রস উপকারি কিন্তু রিফাইন্ড চিনি নয়। এক কেজি পরিমাণ চিনি তৈরি করতে সাধারণত পাঁচ থেকে ছ'টা আখের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আখের রসের মধ্যে যে নোংরা থাকে সেগুলিকে পরিষ্কারের জন্য এবং চিনি আরও সাদা করতে বেশ কিছু কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। সালফার ডাই অক্সাইড, ফসফরিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের মতো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। সেই সঙ্গে চিনি সাদা করতে অ্যাক্টিভেটেড চারকোল ব্যবহার হয়। এসব পদার্থ আমাদের শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই চিকিৎসকরা রোজকার খাবারে অল্প পরিমাণে চিনি ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
প্রচুর পরিমাণে চিনিযুক্ত খাবার খেলে হৃদ্রোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। এই ধরনের জিনিস যত বেশি খাবেন ততই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়বে। ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চিনি খাওয়া কমাতেই হবে। অনিদ্রার সমস্যা থাকলে চিনি থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। কাজে গতি আনতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করলে ভাল। চিনি কাজের গতি কমিয়ে দেয় ও কর্মক্ষমতাকে ধীর গতিকে নামিয়ে আনে। যে কোনও প্রদাহ বাড়তে পারে চিনি খাওয়ার অভ্যাসে।
চিনি একেবারেই খাবেন না তা নিয়ে পুষ্টিবিদেরা কিছু বলেননি। তবে পরিমাণে অল্প খাওয়াই উত্তম সিদ্ধান্ত।
সাদা চিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কমে এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড বা চর্বি জমে। লিভারে চর্বি জমে, ফ্যাটি লিভারের লক্ষন দেখা যায়। সাদা চিনি খেলে ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ি, দাগ ইত্যাদি হতে পারে। হৃদরোগ ও ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকেও ডেকে আনতে পারে অতিরিক্ত সাদা রিফাইন্ড চিনি খাওয়ার অভ্যাস।
