আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ নানা ধরণের পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ ফল হল খেজুর। প্রাকৃতিক চিনি ও
ফাইবার। একটি ব্যালেন্সড ডায়েটে খেজুরের মত উপকারি ফল খুব কমই আছে। এর প্রাকৃতিক মিষ্টতা ওজন কম করতে ও পেটের মেদকে ঝরাতে দুর্দান্ত কাজ দেয় এই ফল।
ডায়টেরি ফাইবার বিশেষ করে সল্যুবল ফাইবার সমৃদ্ধ খেজুর, যা দেরিতে হজম হয় ও অনেকক্ষন পেট ভরে থাকার অনুভূতি হয়। পেট ভরে থাকার জন্য অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে সাহায্য করে ও ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক মিষ্টি যেমন ফ্রুক্টোজ, গ্লুকোজ ও সুক্রোজের মত উপাদান ভরপুর মাত্রায় রয়েছে খেজুরে। যা আপনার মিষ্টি প্রসেসড সাদা চিনি বা মিষ্টি খাওয়ায় প্রবণতাকে বশে রাখে। চিনি খেয়ে শরীরে ক্যালোরি শোষণ করার পরিবর্তে খেজুর খেলে ওজন বাড়বে না, উল্টে মিষ্টির স্বাদও পাবেন।
বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলসে পরিপূর্ণ ফল খেজুর। ভিটামিন বি, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এতে রয়েছে যা আপনাকে এনার্জি যোগায় এবং মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। মেটাবোলিজমের হার বাড়লে ক্যালোরি বার্ন হয় ও ওজনও কমে। তাছাড়া খেজুরে লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকায় ডায়বেটিসকে বশে রাখে। রক্তে সুগারের মাত্রাকে বাড়তে দেয় না, খিদে কম করে।
ফ্ল্যাভনয়েড, ক্যারোটিনয়েড ও ফেনোলিক অ্যাসিডের মতো সব ধরণের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে খেজুরে যা ফ্রি রেডিক্যালসের সঙ্গে লড়াই করে শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। টক্সিন বেরিয়ে গেলে ফ্যাট জমতে দেয় না।
প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে যা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে শরীরে শক্তি আসে। এটি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে, যা মাসিকের সময় হওয়া সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। খেজুর ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী, কারণ এটি ত্বককে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে ৷
রোজ দুটি থেকে তিনটি খেজুর আপনার ডায়েটে রাখুন। স্যালাড, স্মুদি বা ব্রেকফাস্টে মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে হলেই খেজুর হতে পারে অন্যতম পছন্দ।
