আজকাল ওয়েব ডেস্ক: সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্টি কালজয়ী প্রোফেসর শঙ্কুর একটি যন্ত্র ছিল। তাঁর নিজেরই আবিষ্কার। নাম, লিঙ্গুয়াগ্রাফ। এই যন্ত্র কানে গুঁজতে হত। যে কোনও অজানা ভাষাকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বাংলায় অনুবাদ করে দিত এই যন্ত্র। এমনকি পশু-পাখি, কীটপতঙ্গদের করা শব্দের অর্থও বের করতে সক্ষম ছিল লিঙ্গুয়াগ্রাফ।এবার বইয়ের পাতা থেকে সরাসরি বাস্তবে।
হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, দুই জাপানিজ আবিষ্কর্তা তাদের বুদ্ধিমত্তা ও ম্যাজিকের দ্বারা ভাষা পরিবর্তন ও অনুবাদের জন্য এক যন্ত্রের আবিষ্কার করেছেন, যার দ্বারা ৬০টির বেশি ভাষাকে শুধুমাত্র কয়েকটি আঙুল দিয়ে বোতাম টিপেই বোঝা যাবে।অ্যানেন্স, হল এমন একটি সহজলভ্য গ্যাজেট যার সাহায্যে কোন ভাষাই আর অজানা নয়।
নতুন কোন ভাষা শিখতে, জানতে ও বোঝার জন্য কয়েক বছর সময় লেগে যায়।শেখার জন্য অর্থেরও প্রয়োজন হয়।এমনকি কোন ভাষা পরিবর্তনকারীকে এই কাজে যুক্ত করতে গেলেও অর্থের প্রয়োজন।কোন অ্যানেন্স হল এমন একটি গ্যাজেট যার নিজের এক নিমেষেই প্রচুর বিভিন্ন নতুন ভাষাকে রপ্ত করার এক অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে।
আকারে ছোট ও ওজনে হালকা এই যন্ত্রটি যেকোনও জায়গায় খুব সহজেই বহন করা সম্ভব।আওয়াজের তিব্রতা যথেষ্ট বেশি হওয়ায় জনবহুল এলাকাতেও শুনতে পারা যায়। যন্ত্রটি অনলাইনে খুব সহজ ও সুরক্ষিত উপায়ে কিনতে পারেন।কোন রকম টাকা ব্যয় করতে হয় না। ডেলিভারির সময় জিনিসটিকে খতিয়ে দেখে তবেই পেমেন্ট করার নিয়ম।
মূলত পর্যটকদের জন্য বিশেষ এই গ্যাজেট তৈরি করা হয়েছে।যা ইতিমধ্যেই যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।আলাদা আলাদা দেশের ভিন্ন ভাষাকে চটজলদি রপ্ত করে অনুবাদ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই যন্ত্রটি।
সমাজের বেশ কিছু মানুষ নিজেদের কাজের ক্ষেত্রতে এই যন্ত্রের ব্যবহারে সহজেই সমস্যাকে সমাধান করতে পারছেন।তাছাড়া বিদেশে নতুন প্রতিবেশী, বন্ধুদের সঙ্গে তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে এমনকি স্থায়ীভাবে এখানে বসবাস করতেও সাহায্য করে এই গ্যাজেট।
