আজকাল ওয়েবডেস্কঃ গর্ভাবস্থায় সবসময় স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করা জরুরি। এই সময় এমন খাবার প্রয়োজন যা মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রোজের পাতে কোন কোন খাবারগুলো রাখলে মিলবে প্রয়োজনীয় উপাদান জেনে নিন। 

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রোজ মাছ খান। মাছের মধ্যে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। মাছের মধ্যে থাকা পুষ্টি সন্তানের মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে। এই সময় সামুদ্রিক মাছ খেতে পারলে আরও বেশি উপকার পাবেন।

যেকোনও ডাল এই সময় ভীষন কার্যকরী মা ও হবু সন্তানের জন্য। মুসুর ডাল, অড়হড় ডাল, মুগ ডাল, রাজমার মতো ডালগুলি গর্ভাবস্থায় আপনি রোজ খেতে পারেন। ডালের মধ্যে প্রোটিন, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন বি ইত্যাদি রয়েছে যা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খোসা ছাড়িয়ে মটরশুঁটি খাওয়ার অভ্যাস করুন। শীতের মরশুমে বাজারে সহজেই মটরশুঁটি পেয়ে যাবেন। এই সবজিও অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। মটরশুঁটির মধ্যে ফলিক অ্যাসিড রয়েছে এটি মস্তিষ্কের কোষকে সচল রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই আনাজ স্তন্যদুগ্ধের উৎপাদন বাড়াতেও সাহায্য করে। 

শীতে সর্দি-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ঘন ঘন রোগে আক্রান্ত হওয়া মোটেই ভাল বিষয় নয়। এক্ষেত্রে আপনি রোজ আখরোট খান। আখরোট ফাইবার, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। পাশাপাশি এতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। 

শুধু গর্ভাবস্থায় নয়, মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী টকদই। টক দইয়ের মধ্যে ক্যালশিয়াম এবং প্রোবায়োটিক রয়েছে। ভ্রূণের হাড় গঠনে এই প্রোটিন খুবই কার্যকরী। তাছাড়া অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও রোজ টক দই খাওয়া দরকার। 

গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতি মিটিয়ে ফেলতে চাইলে রোজ চিকেন খেতে পারেন। তাতেই এড়িয়ে যেতে পারবেন অ্যানিমিয়ার ফাঁদ। শুধু তাই নয়, এই মাংস হল প্রোটিনের আঁতুরঘর। তাই নিয়মিত মুরগির মাংসের পদ খেলে যে ভাবী মা এবং তাঁর গর্ভের সন্তানের শরীরে এই ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে গর্ভাবস্থায় রোজ চিকেন খেতেই হবে। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।

পুষ্টিবিদদের এই দুই শাকের প্রশংসা করেন। কারণ এই দুই শাকে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। তাই দেহে পুষ্টির অভাব মেটাতে চাইলে এই দুই শাক নিয়মিত খেতেই হবে। শুধু তাই নয়, এইসব শাকে বেশ কিছুটা পরিমাণে আয়রনেরও খোঁজ মেলে। তাই গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ মতো এই দুই ঔঔশাক অবশ্যই খান। এই কাজটা করলেই অ্যানিমিয়ার ফাঁদ এড়িয়ে যেতে পারবেন।