আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রত্যেক ব্যক্তির দেহে একটি স্বতন্ত্র গন্ধ থাকে। কিন্তু কখনও কখনও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে শরীরের গন্ধ এমন একটি বিড়ম্বনার কারণ হয়ে ওঠে যা যৌনজীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। গোপনাঙ্গে দুর্গন্ধ তৈরি হওয়া তেমনই একটি সমস্যা। বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, যৌনস্বাস্থ্যবিধি ঠিক মতো পালন না করা, হরমোনের পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে এমনটা হতে পারে। কিন্তু অনেকেই বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে কুণ্ঠা বোধ করেন। তাই রইল এমন একটি ঘরোয়া পদ্ধতির খোঁজ, যা বাড়িতেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
একটি পাত্রে এক লিটার ঈষদুষ্ণ জল নিন। এরপর সেই জলে দেড় চামচ খাবার সোডা মিশিয়ে ভাল করে গুলে নিন। খাবার সোডা যৌনাঙ্গের অম্ল গন্ধ দূর করতে পারে। ফলে অ্যাসিড ও ক্ষারের ভারসাম্য তথা সঠিক 'পিএইচ' বজায় রাখতে সহায়তা করে। এর পর মিশ্রণটিতে দুই ছিপি অ্যাপেল সিডার ভিনিগার দিয়ে দিন। অ্যাপেল সিডার ভিনিগারে অ্যাসিটিক অ্যাসিড থাকে, এটি অত্যন্ত মৃদু একটি অ্যাসিড, যা গোপনাঙ্গের ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এরপর মিশ্রণটিকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। স্নানের আগে একটি পরিষ্কার তোয়ালে মিশ্রণে চুবিয়ে সেই তোয়ালে দিয়ে গোপনাঙ্গ ও সংলগ্ন অঞ্চল মুছে নিন। মিনিট পাঁচেক পর আরও এক বার একই ভাবে তোয়ালে মিশ্রণে চুবিয়ে ফের একবার মুছে নিন গোপনাঙ্গ। পাঁচ মিনিট রেখে ভাল করে স্নান করে নিন। দেখবেন কয়েকদিনেই গায়েব হবে দুর্গন্ধ।
তবে নিছক টোটকা কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী ফল দিতে পারে না। তার জন্য দরকার সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। নিয়মিত গোপনাঙ্গ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা খুবই জরুরি। প্রতিদিন হালকা গরম জল দিয়ে গোপনাঙ্গ ধুয়ে নিন। সুতির অন্তর্বাস পরুন। সুতির অন্তর্বাস বাতাস চলাচল করতে সাহায্য করে এবং ঘাম জমতে দেয় না। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করাও খুবই জরুরি। প্রচুর ফল, শাকসবজি এবং জল পান করুন।
মনে রাখবেন, যদি গোপনাঙ্গের দুর্গন্ধ খুব বেশি হয় তবে তা কোনও যৌন রোগ বা অন্য কোনও গভীর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি, গোপনাঙ্গে কোনও ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
