আজকাল ওয়েব ডেস্ক : রান্নাঘরে পেঁয়াজ সবসময় মজুত থাকে,আমিষ যে কোন পদের স্বাদ বাড়ানোর জন্য পেঁয়াজই ভরসা। দেশের কিছু মানুষ একে আমিষ মনে করলেও,অপর প্রান্তের ধারনা এই সব্জি নিরামিষ।এই তর্ক বিতর্ক চলতেই থাকবে। পেঁয়াজের খাদ্যগুণের কথা কম বেশি আমরা সকলেই জানি। ওষুধি গুণে সমৃদ্ধ এই সব্জি চিরকাল কদর পেয়ে এসেছে।মুড়ি মাখা থেকে পান্তা,মাছ মাংস ডিম সব রান্নাই পেঁয়াজ ছাড়া অচল।রান্নার পাশাপাশি খেতে বসে কাঁচা পেঁয়াজে কামড় দিতে ভালোবাসেন এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে এই অভ্যাস ভাল।গরমে কাঁচা পেঁয়াজ চিবিয়ে খেলে শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকে।

কিন্তু বাজারে গিয়ে এই পেঁয়াজ কেনার সময় কিছু জিনিস লক্ষ্য করেছেন কি? টাটকা লালচে গোলাপী পেঁয়াজের মধ্যেই উঁকি দেয় এমন কিছু পেঁয়াজ যাদের গায়ে বা খোসায় থাকে কালো দাগ।এই দাগ হওয়া পেঁয়াজ কিনতে সাবধান।কেন জেনে নিন।

পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রনের মতো পুষ্টিগুণ। কাঁচা পেঁয়াজে শরীর ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। এমনকি হার্টের যত্নেও এগিয়ে এই সব্জি।তবে বাজারের কালো দাগ থাকা পেঁয়াজ একেবারেই নেবেন না।এই কালো দাগগুলো কে বলা হয় 'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস'।যার বৈজ্ঞানিক নাম অ্যাসপারগিলাস নাইজার। মাটির নিচে,জলে এই ধরনের ছত্রাক পাওয়া যায়।ফ্রিজে বহুদিন কোন খাবার রেখে দিলেও এই ছত্রাকের জন্ম হয়।খুব কম তাপমাত্রায় পেঁয়াজ রাখলে তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যায়। অনেকেই অর্ধেক পেঁয়াজ ব্যবহার করে বাকি অর্ধেকটা ফ্রিজে রেখে দেন। এই ভুল কখনও করবেন না। পেঁয়াজ কেটে ফ্রিজে রাখলে খুব তাড়াতাড়ি পেঁয়াজের উপর ব্যাক্টেরিয়া ও কালো ছত্রাক বাসা বাঁধে। তাই কাটা পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।

কালো দাগ থাকা পেঁয়াজ খেলে হতে পারে অনেক শারীরিক সমস্যা। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তারা এই পেঁয়াজ খেলে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে। সঙ্গে মাথা ও পেটে ব্যাথা,বমিও হতে পারে।

শুধু পেঁয়াজের গায়ে বা খোসায় নয়,কাটার পর ভেতরে কালো ছত্রাক থাকলেও সেটি ফেলে দিন। টাটকা গোলাপী রঙের পেঁয়াজ ব্যবহার করুন। ক্যান্সারের কোষকে ধ্বংস করতেও পেঁয়াজ কার্যকরী।