আজকাল ওয়েবডেস্কঃ শীতের সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্রকলি। সারাবছর দেখা মিললেও, এই মরশুমে তার রমরমা একটু বেশিই। ব্রকলি ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ। যাদের ভিটামিন সি-র ঘাটতি রয়েছে তারা অল্প করে হলেও ব্রকলি প্রতিদিন খেতে পারেন। ব্রকলির বিটা ক্যারোটিন ও সেলিনিয়াম যৌথ ও ভিটামিন সি প্রস্টেট, কোলন, ফুসফুস, যকৃত, স্তন ও প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ব্রকলি। এতে প্রচুর ভিটামিন এ থাকায় ত্বকে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণে বাধা দেয়। সর্দি-কাশিও ঠেকাতে পারে ব্রকলি। 

প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে এই সবজিতে। অন্য বহু সব্জির তুলনায় এর ফাইবারের পরিমাণ বেশি। ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। তা ছাড়া ফাইবার ধীরে পাচিত হয়। তাই দীর্ঘ ক্ষণ পেটে থাকে, খিদেও কম পায়। ফলে যারা ওজন কমাতে চাইছেন, তারা নিয়মিত ব্রকলি খেতে পারেন। রক্তাল্পতা থাকলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে তীব্র শ্বাসকষ্টও হতে পারে। ব্রকোলি এই সমস্যাও কমিয়ে দিতে পারে। আয়রনে ভরপুর ব্রকোলি রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে পটাশিয়াম। তাছাড়া হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায় পটাশিয়াম। 

বাইরে খেয়েও কোলেস্টেরল বাগে রাখতে হলে নিয়মিত ব্রকোলি খেতে হবে। ফাইবারে ভরপুর ব্রকোলি খারাপ কোলেস্টেরল দেহ থেকে বের করে দেয়। ফলে কমে হৃদরোগের ঝুঁকিও। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাছাড়া ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় খাদ্যতালিকায় ব্রকোলি থাকলে ওজনও কমবে তরতরিয়ে। ব্রকোলির খাদ্যগুণে শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা হ্রাস পায়। ফলত ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কাও কমে। বিশেষ করে স্তন ও জরায়ুর ক্যানসার রোধে এই সবজির জুড়ি মেলা ভার।