আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ অ্যালার্জি হলে বা ঠান্ডা লাগলে আমাদের নাকে প্রথম আক্রমণ করে।নাক বন্ধ, জল পড়া, নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা এমনকি ঘুমোলে শরীর সুস্থ হবে জেনেও ঘুমোতে না পারার কষ্ট সাংঘাতিক হয়। ভীষণ অস্বস্তি অবস্থার সৃষ্টি হয়।একটু প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে পারার জন্য মানুষ কত কিছুই তো করে। কিন্তু ঘরেই রয়েছে এমন এক মশলা যা আপনাকে এই কষ্টের থেকে রেহাই দিতে পারে।
শুধু রান্নায় ফোড়ন দিতে নয়,
স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকেও কালোজিরের গুরুত্ব যথেষ্ট। হেঁশেলের এই উপকরণটি ব্যবহার করলে আপনি ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হওয়ার যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবেন।
রান্নাঘরে কালোজিরের কোনও বিকল্প নেই।নিরামিষ রান্নার পাশাপাশি আমিষ পদেও কালোজিরের ব্যবহারের চল রয়েছে। তবে রান্নায় ব্যবহার ছাড়াও প্রাকৃতিক ওষুধেরও কাজ করে এই মশলা।
শরীরে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ আটকাতে বেশ উপকারী কালোজিরে।শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে এটি। বন্ধ নাক খুলতে ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার সমাধানে এই মশলার জবাব নেই।
পেটের সংক্রমণকে আটকায় এই ঘরোয়া উপাদান। আলসার ঠেকিয়ে রাখতেও সাহায্য করে এই মশলা।
হাই ব্লাড প্রেশারের রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন কালোজিরে ভেজানো জল। এই জল উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এক কাপ জলে আধ চামচ মতো কালোজিরে ভিজিয়ে রেখে দিন। পরের দিন সকালে উঠে জল ছেঁকে খেয়ে নিন। সপ্তাহে তিন-চার দিন খেলে রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও কালোজিরেতে ভরসা রাখুন।রান্নায় এই মশলার ব্যবহার কমাতে পারে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি।
বাতের ব্যথা কমাতেও কালোজিরে তেল খুব উপকারী। কালোজিরেতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পেশির নমনীয়তা বজায় রাখে। সরষের তেল গরম করে, খানিকটা কালোজিরে দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা করে ছেঁকে সেই তেল ছোট শিশুদের মালিশ করার চল বহুদিনের।এই তেলের উপকারীতা অপরিসীম।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে, হৃদ্রোগজনিত সমস্যার আশঙ্কা কমায়।ত্বকের সুস্বাস্থ্য, আর্থ্রাইটিস কমাতে কালোজিরের তেল উপকার দেয়।
