আজকাল ওয়েবডেস্কঃ মাথায় একবার উকুন হলে তার থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায় না। বিশেষ করে অল্প বয়সে বা স্কুলে পড়াকালীন এই সমস্যা দেখা যায় বেশি। এছাড়াও ট্রেনে-বাসে নিয়মিত যাতায়াত করলেও অনেক সময়ে চুলে উকুনের সমস্যা আসতে পারে। অন্য কোনও ব্যক্তির ব্যবহৃত চিরুণি ও অপরিষ্কার ব্রাশে চুল আঁচড়ালে উকুন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। অন্যের তোয়ালে দিয়ে চুল মুছলেও সেখান থেকে উকুন আসার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা উচিত। স্ক্যাল্প পরিষ্কার করে রাখা উচিত। না হলে উকুনের সমস্যা বাড়বে। উকুন দূর করার জন্য নানা ঘরোয়া টোটকাই আমরা কাজে লাগিয়ে থাকি। এই ঘরোয়া উপায়ে সহজেই আপনার মাথায় উকুনের বংশ বিস্তার বন্ধ হবে।
একটি আদার টুকরোকে গ্ৰেট করে নিন। তার থেকে আদার রস নিংড়ে বের করে নিন। এর সঙ্গে রোজের ব্যবহারের শ্যাম্পু দু'চামচ ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। পরিমাণ মতো জল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। স্নানের আগে মাথার স্ক্যাল্পে ও চুলের ডগা পর্যন্ত মেখে নিন এই মিশ্রণ। আধঘন্টা অপেক্ষা করুন। তারপর শুকিয়ে গেলে যে কোনও ভাল অ্যান্টি লাইস শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। মাসে ৩-৪ বার এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে আপনার চুল থেকে উকুনেরা তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে যাবে। চুলের স্বাস্থ্যও হবে নজরকাড়া।
আবার উকুন দূর করতে এই নিম যে বেশ কার্যকরী, তা কিন্তু বিজ্ঞানসম্মতভাবেও প্রমাণিত। নিম উকুন দূর করতে খুব ভালোই কাজে দেয়। এই কথা আমরা কম বেশি সবাই জানি। আপনি নিম তেলও ব্যবহার করতে পারেন। আবার নিম পাতার পেস্টও স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগিয়ে নিতে পারেন।
অন্যের বা অপরিচিত কারও ব্যবহৃত ও অপরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করবেন না।
অন্যের অপরিষ্কার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন না।
স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখুন।
নিয়মিত শ্যাম্পু করুন ও চুলের যত্ন নিন।
উকুনের সমস্যা মারাত্মক হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
