আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেখতে ব্যাঙের ছাতার মত হলেও এই সবজি আপনার শরীরের জটিল থেকে জটিলতর সমস্যাকে সমাধান করতে পারে। মাশরুমে রয়েছে ফসফরাস, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম সহ একাধিক খনিজ উপাদান। যা শরীরে একাধিক রোগ প্রতিকারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগে মাশরুম খাওয়ার তেমন চল ছিল না। বড় কোন রেস্তোরাঁয় মাসরুমের কোন পদ পাওয়া যেত। যার দামও ছিল যথেষ্ট চড়া। তবে এখন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষেরা এই খাবার নিয়মিত নিজের ডায়েটে মাসরুমকে জায়গা করে দিয়েছে।
যার কারণ এতে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর উপাদান। মোটামুটি বাজারে গেলেই এখন এর দেখা পেয়ে যাবেন। এতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভাণ্ডার। বিশেষত মাশরুমে আছে অনেকটা পরিমাণে জিঙ্ক। শরীর সুস্থ রাখার কাজে অত্যন্ত উপকারী এই সবজি।এছাড়াও মাশরুমে রয়েছে ভিটামিন ডি যা হাড়ের গঠন ছাড়াও অন্যান্য কাজে এই ভিটামিনের প্রয়োজন হয়। এছাড়া এতে রয়েছে সেলেনিয়াম, কপার, থিয়ামিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, প্রোটিন ইত্যাদি।
পটাশিয়াম যুক্ত মাশরুম খেলে ব্লাড প্রেশারের সমস্যা কমে। এর মাধ্যমে রক্তনালী পরিষ্কার করতে পারে। ফলে ব্লাড প্রেশার কমে। তাই প্রেশারের রোগীরা প্রায়শই এই খাবার খেতে পারেন।
মাশরুমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। যা হৃদ্রোগ এবং ক্যান্সারের মতো রোগের কারণ হতে পারে। রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড শরীরের জন্য উপকারী। মাশরুমে থাকা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এবং ভিটামিন-ডি শিশুদের দাঁত ও হাড় গঠনেও সাহায্য করে।
মাশরুমে খুব কম ক্যালোরি রয়েছে। ৫টি সাদা মাশরুমে মাত্র ২০ ক্যালোরি রয়েছে। মাশরুম খেলে পেট ভরা থাকে এবং দ্রুত খিদে পায় না। ফলে জাঙ্ক ফুড এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা সম্ভব।
পুষ্টিবিদদের মতে, আপনার খাদ্যতালিকায় অনেক ধরনের জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। মাশরুম একটি সহজলভ্য সবজি যা বিভিন্ন উপায়ে তৈরি করা যায় এবং এর পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়।
