আজকাল ওয়েব ডেস্ক: সামনেই কালীপুজো। আলোর উৎসব পালিত হবে দেশ জুড়ে। চলছে তার প্রস্তুতি। আলো, প্রদীপ, নানা ধরনের রং বেরঙের আলো, মোমবাতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাজি বিক্রিও। কারণ এই উৎসব শুধুমাত্র আলোয় সীমাবদ্ধ নয়। দীপাবলির সময় সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হয়। এক রাতেই দূষণ এতটাই বেড়ে যায় মনে হয় যেন কুয়াশা পড়েছে কালীপুজোর রাতে। বাজি ধোঁয়া মারাত্মক ক্ষতি করে মানবদেহে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস। তবে বায়ুদূষণের কারণে ফুসফুসের সঙ্গে ত্বকেরও ক্ষতি হয় সমানভাবে। দীপাবলির জন্য শুধু ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ালেই চলবে না। বাজির ধোঁয়ায় মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগে বাঁচাতে হবে ত্বককেও।কালীপুজোর রাতে এতটা পরিমাণ দূষণ বেড়ে যায় যে ত্বকে চুলকানি, র‍্যাশ ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। শুধু আগে থেকে ত্বকের যত্ন নিলেই চলবে না। দীপাবলির রাতেও আপনাকে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

বায়ুদূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের চুলও। বাজির ধোঁয়ায় চুল আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। চুল রুক্ষ এবং নিস্তেজ দেখায়। পাশাপাশি চুল পড়া এবং খুশকির সমস্যাও বেড়ে যায়। এই সমস্যাকে এড়ানোর জন্য কালীপুজোর রাতে বাজি পোড়ানোর সময় চুল বেঁধে রাখুন। পুজোর পরদিন অবশ্যই শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিন চুলে। শ্যাম্পু আপনার স্ক্যাল্প ও চুলে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দেবে। কন্ডিশনার আপনার চুলের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনবে।

বাজি পুড়িয়ে অবশ্যই জল দিয়ে হাত-পা ধুয়ে ফেলুন। এরপর সাবান ব্যবহার করুন। এরপর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। একই কাজ করুন মুখের ক্ষেত্রেও। বাজি পোড়ানো শেষ হলেই পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে তারপর কোনও মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহার করে মুখ পরিষ্কার করে নিন। শেষে ক্যালামাইন জাতীয় ময়শ্চারাইজার মেখে নিন। এতে ত্বক সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। এইদিন রাতে বাতাসে যে দূষিত কণা ভেসে বেড়াবে তা প্রভাব ফেলবে আমাদের ত্বকে। এর কারণে ত্বক নিস্তেজ দেখাবে। এই ক্ষেত্রে ত্বকের উপর ল্যাভেন্ডার অয়েল এবং অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। রাতে নাইট ক্রিমের বদলে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে ত্বকে মাখুন। এতে আপনার ত্বক অক্সিজেন পাবে এবং প্রান ফিরে পাবে।

শ্বাসকষ্ট ও র‌্যাশের শিকার হতে পারেন বাজির দাহ্য পদার্থ ও রাসায়নিক থেকে। তাই এ সব পোড়ানোর সময় অবশ্যই নাক-মুখ চাপা দিতে পাতলা সুতির কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করুন। বাজি পোড়ানোর সময় অবশ্যই পায়ে রাখুন রবারের জুতো।