আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ বর্তমান জীবনযাত্রায় যে সব মারণ অসুখ নিয়ত আমাদের ভাবনায় রাখে, তার অন্যতম ক্যানসার।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)এর মতে, ভারতের মতো দেশে প্রতি দিনই ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও আধুনিক জীবনযাত্রার নানা ক্ষতিকারক দিকও এমন মারণ অসুখের দিকে ঠেলে দেয় আমাদের।আপনি যদি আপনার পরিবারকে ভালোবেসে থাকেন, তবে এইসব জিনিসগুলো বাড়ি থেকে বিদায় করুন যার ব্যবহারে ক্যান্সার হতে পারে।
আল্ট্রাপ্রসেসড খাবার খাওয়ার ফলে অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে।এই পরিস্থিতিতে আলট্রা প্রসেসড ফুড আপনার শরীরে ক্যান্সার কারণ হতে পারে।এই প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়া বা কম খাওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় এই খাবার বেশি খাওয়া পুরুষদের মধ্যে বাওয়েল ক্যান্সারের আশঙ্কা প্রায় ২৯ শতাংশ বেশি।তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে রেডি টু কুক খাবার, খুব গরম খাবার ইত্যাদি কিন্তু ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়াতে পারে। তাছাড়া প্লাস্টিকের বোতল সূর্যের সংস্পর্শে এলে ডাইঅক্সিন নামক টক্সিন উৎপন্ন করে, যা স্তন ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।প্লাস্টিকের বোতলে থাকা ফ্যাটালেটস নামক রাসায়নিক যকৃতের ক্যান্সারের কারণ।
রোজ অত্যধিক অ্যালকোহল সেবন আপনাকে বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
ননস্টিক প্যান কিছু দিন ব্যবহারের পরেই রং উঠতে শুরু করে।ননস্টিকের লেয়ার কার্সিনোজেনিক বলে চিহ্নিত করেছে। ক্যান্সারের মতো মারণরোগের আশঙ্কা বাড়ে এই যৌগের ব্যবহারে।যা মাইক্রোপ্লাস্টিক খাবারের সঙ্গে মিশে যায়, সেগুলি শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে।স্টেনলেস স্টিলের বাসন।এছাড়া, ব্যবহার করতে পারেন সেরামিক বা কাস্ট আয়রনের বাসনও।তেল কম খাওয়ার অজুহাতে ননস্টিকের তাওয়া নয়, বরং স্টিল, কাস্ট আয়রন, লোহা বা সেরামিকের বাসনে অল্প তেল দিয়েই রান্না করুন।
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ, অফিসে রান্না করা বাড়ির খাবার নিয়ে যান।কিন্তু সেই খাবার নিয়ে যান প্লাস্টিকের টিফিন বাক্সে।খাবার খাওয়ার আগে তা আবার মাইক্রোওয়েভ অভেনে গরমও করে নেন।এছাড়া, রান্না করা খাবার রাখার জন্যও অনেকে প্লাস্টিকের বাক্স ব্যবহার করেন।প্লাস্টিক গরম করলে তা থেকে নানা ধরনের রাসায়নিক নির্গত হয়।খাবারের সঙ্গে মিশে শরীরে প্রবেশ করলে, তা থেকে ক্যানসারের মতো জটিল রোগ হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।শুধু তা-ই নয়, প্লাস্টিকজাত বর্জ্য থেকে পরিবেশ এবং অন্যান্য প্রাণীরও প্রাণ সংশয় ঘটতে পারে।
অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে রাসায়নিক পদার্থ পলিফ্লুরোঅ্যালকার উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।দীর্ঘক্ষণ ভাল রাখতে অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েলেও কেউ কেউ খাবার মুড়িয়ে রাখেন।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবারের সংস্পর্শে আসার ফলে এই ধরনের জিনিসপত্র থেকে ক্ষতিকর ‘পিএফএস’ খাবারের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে।খাবার থেকে তা শরীরে প্রবেশ করছে এবং লিভারে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলছে।যার পরিণতি লিভার ক্যানসারও হতে পারে।
