আজকাল ওয়েব ডেস্ক: হেঁশেলে রান্না করা গরম ভাতের সুবাস চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লেই ভরে যায় মন। ভেতো বাঙালির সারাদিনে একবার ভাত না খেলে ঠিক যেন দিন গুজরান হয় না। এই ভাত রান্না করার আগে চাল কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখেন প্রায় প্রত্যেকেই। তাতে ভাত হতে সময় কম নেয়। ভাত করার আগে ভেজানো চাল তুলে নিয়ে সেই জল সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু জানেন কি, ওই চাল ধোয়া জলেই লুকোনো রয়েছে ম্যাজিক! আয়নার মতো স্বচ্ছ ত্বকের চাবিকাঠি লুকিয়ে ওই জলেই।
ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে গোলাপ জলের সঙ্গে চাল ভেজানো জল ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে, মুখ পরিষ্কার করে টোনার হিসেবেও স্প্রে করে নেওয়া যায় চাল ধোয়া জল। ত্বকের পক্ষে উপকারী প্রয়োজনীয় নানা ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের গুণে ভরপুর চালের জল। এই জল দিয়েই কিন্তু ত্বকের যত্ন নেন চিন, জাপান এবং কোরিয়ার মানুষেরাও।
কীভাবে ব্যবহার করবেন চাল ভেজানো এই জল? বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে প্রথমেই ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপর সেই চাল ধোয়া জল মুখে স্প্রে করুন। নিয়মিত এটি করলে ত্বকে বলিরেখা পা বাড়াতে পারবে না। শুধু জেল্লাদার ত্বকই নয়, শরীরের মেদ কমাতেও সাহায্য করে এই চাল ধোয়া জল। এই জল কিন্তু পানও করতে পারেন। নিয়মিত খেলে হজম হবে ভাল, মেদও ঝরবে তাড়াতাড়ি। তাহলে বাড়িতে চলুক রাইস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট।
কীভাবে তৈরি করবেন? একটি বাটিতে কিছু পরিমাণ চাল ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিন। তারপর সেই জল স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে ভালো করে স্প্রে করে দিন সারা মুখে এবং গলায়। ত্বক হবে একেবারে ঝকঝকে।
টোনার হিসাবে চাল ভেজানো জলের ব্যবহারে কমে যাবে ব্রণের সমস্যা। এই জলে তুলো ভিজিয়ে তা আলতো করে মুখে লাগান। র্যাশ, মুখে ফোলা ভাবও দূর করতে হাতিয়ার করতে পারেন চাল ধোয়া জলকে।
