আজকাল ওয়েব ডেস্ক: দুপুরের খাবার খেলেই অনেকের শরীর ভাতঘুমের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। এমনকি অফিসে বসে থাকলেও লাঞ্চের পর বেশ ঝিমুনি বা হেড ডাইন করে রাখার অভ্যাস আছে কিছু মানুষের।রাতেও অফিস থেকে ফিরে ডিনার করে চটজলদি বিছানায় যাওয়াও রোজের নিয়মে পরিণত হয়েছে।খাওয়ার পরই তো আলসেমি চেপে ধরে।
কিন্তু এতে শরীরের কতটা ক্ষতি হচ্ছে সেটি অবশ্যই ভেবে দেখার বিষয়। অঙ্গকে যত সচল রাখা যায়, ততই সুস্থতা থাকবে।বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁটা শরীরের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মর্নিং কিংবা ইভনিং ওয়াক করেন।কিন্তু খাবার খাওয়ার পর সেই সময় প্রায় প্রত্যেকেই শুয়ে থাকতে বা আরাম করতে পছন্দ করেন।পেট ভরে খাবার খাওয়ার পর বিশ্রামের যুক্তি কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল।রোগের সম্ভাবনা সেখান থেকেই শুরু হয়। তাই খাবার খাওয়ার পর অন্তত ১০ মিনিট হাঁটা খুবই প্রয়োজন।
সুগার থাকলে তাদের খাওয়ার পর হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ খাবারের পর রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে হেঁটে নিলে তা অনেকটাই কমে যায়।
খাওয়ার পর নিয়মিত হাঁটাচলা করলে রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমে।ফলে স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও অনেকটাই কম থাকে। সঙ্গে এই সময় হাঁটার অভ্যাস থাকলে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।যাদের হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য খুবই উপকারী।
খাবার খাওয়ার পর হাঁটলে হজম শক্তি বাড়ে।ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেক কম হয়।খাওয়ার পর তৎক্ষণাৎ বিশ্রাম নিলে শরীরে মেদ জমতে পারে।একটু হাঁটাচলা করে নিয়ে সেই সমস্যা খুব একটা হয় না। যাদের গল ব্লাডার অপারেশন করে বাদ দেওয়া হয়, তারা খেয়ে একটু হাঁটাচলা না করলে মারাত্মক হজমের গোলমাল হতে পারে।
মনে রাখবেন, ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেটের মতো খাবার বার্ন করার জন্য হাঁটার কোনও বিকল্প নেই।এই মোক্ষম দাওয়াই আপনার শরীরের অনেক কষ্টকে লাখব করবে।
তবে খাবার পরই খুব জোরে হাঁটবেন না। অল্প গতিতে রিল্যাক্স করে হাঁটতে হবে। ১০ মিনিট হাঁটা ধীর গতিতে হাঁটুন।
