আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে অগুনতি কাজের বিরাম নেই।সেই কাজের বেশিরভাগ চাপ সহ্য করতে হয় আমাদের হাতকেই।বাড়ির কাজ করতে গিয়ে প্রচুর জল, সাবান, বিভিন্ন রাসায়নিকের মতো অনেক কিছু হাতে লাগে।মুখের ত্বকের মতো ক্রিম, স্ক্রাবিং ও ময়েশ্চারাইজিং এর যত্ন কি হাত পায়?সে কিন্তু অবহেলিত থাকে।অযত্নের শিকার হয়ে ধীরে ধীরে হাত শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়।চামড়া কুঁচকে গিয়ে সময়ের অনেক আগেই বয়সের ছাপ পড়ে যায়।তাই আপনার হাতের প্রয়োজন সঠিক যত্ন।ঘরে তৈরি করা খুব সামান্য উপকরণ দিয়ে তৈরি এই প্যাকটি ব্যবহার করে দেখুন। হাতের চামড়া টানটান হয়ে যাবে নিমেষেই।
একটি বাটিতে দু'চামচ চিনিগুঁড়ো নিন।সঙ্গে দিন এক চামচ অ্যালোভেরা জেল ও দু'চামচ নারকেল তেল।একটি প্যাকেটের শ্যাম্পু কেটে সম্পূর্ণটা দিয়ে দিন। সমস্ত উপকরণগুলো ভাল করে মিশিয়ে নিন।সন্তানের আগে রোজ এই মিশ্রণকে হাতে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন।তারপর জল দিয়ে ধুয়ে নিন।হাতের বলিরেখার পাশাপাশি অবাঞ্ছিত ময়লাও দূর হবে।সান ট্যান পড়লে সেই কালচে দাগও উধাও হবে এই প্যাকের ম্যাজিকে।
প্রতিদিন থালা বাসন পরিষ্কার কিংবা কাপড় কাচার কারণে হাত অনেকটাই শুষ্ক হয়ে যায়।তাই প্রথমেই খেয়াল রাখুন, খুব ক্ষারযুক্ত কোনো সাবান যেন ব্যবহার করা না হয়।এসবের পাশাপাশি হাতের ব্যয়াম করতে পারেন।ভীষন কার্যকরী।হাত ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার মাখুন।
অতিরিক্ত জল ঘাঁটলেও হাতের ত্বক বুড়িয়ে যেতে পারে।তাই এই ধরনের কাজ করার সময়ে হাতে গ্লাভস পরার চেষ্টা করুন।
হাত ভাল রাখতে পার্লারে যাওয়া সম্ভব না হলে বাড়িতেই ঘরোয়া উপায়ে ম্যানিকিউর করতে পারেন।এতে হাত হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও নরম।বাইরে যাওয়ার আগে হাতে সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।অনেকেই মুখে সানস্ক্রিন লাগালেও হাত পা বাদ দিয়ে দেন। এতে হাত বেশি কালো হয়ে যায়।শীতকালে ক্রিমবেস সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
