আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজকাল সারা বছর ধরে চুল পড়ার সমস্যায় নাজেহাল কম-বেশি সকলেই। নেপথ্যে মানসিক চাপ, খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, রাসায়নিকের ব্যবহার, দূষণের বাড়বাড়ন্ত সহ বিভিন্ন কারণ। সারা দিনে ৫০-১০০টা চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু তার বেশি হলেই চিন্তার ভাঁজ পড়ে কপালে। বিশেষ করে ঘুম থেকে উঠে বালিশে গুচ্ছ গুচ্ছ চুল পড়ে থাকতে দেখলে মন খারাপ হওয়াই স্বাভাবিক।

চুল পড়া রুখতে কেউ ভরসা রাখেন নামী দামি প্রসাধনীতে, কেউ আবার ঘরোয়া টোটকায়। তবে রোজকার কয়েকটি অভ্যাস না বদলালে সব চেষ্টাই হতে পারে বৃথা। এমনকী অনেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময়ও এমন বেশ কিছু ভুল করে বসেন, যার জেরে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। তখন হাজার যত্ন করেও অকালে চুলের ফাঁক দিয়ে উঁকি মারতে পারে টাক।

আজকাল অফিস বা কাজের জায়গা থেকে ফিরে সন্ধেয় স্নান করার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। এরপর ভিজে চুলে নিয়ে ঘুমিয়েও পড়েন। আর এই সব অভ্যাসই চুলের দফারফা হয়ে যায়। আসলে ভিজে চুলে ঘুমোলে চুল গোড়া থেকে নরম হয়ে যায়। এছাড়াও চুলে জট পড়ে, চুলে ঘাম জমে দুর্গন্ধও বের হয়। ঘষে ঘষে মুছলেও চুল উঠতে পারে।

বেশিরভাগ মহিলাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে চুল বেঁধে ঘুমোতে যান। এতে জট পড়ার সম্ভাবনা কমে যায় ঠিকই, তবে অত্যধিক শক্ত করে চুল বাঁধা উচিত নয়। এতে চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

অনেকেরই স্নানের পর চুল আঁচড়ানোর অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু ভিজে অবস্থায় চুলের গোড়া আলগা থাকে। ফলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। একইসঙ্গে জোরে জোরে আঁচড়ালেও চুল পড়ার সমস্য বাড়ে। চুল পড়া রুখতে মোটা চিরুনি ব্যবহার করতে পারেন। এতে জট পরলে চুল ছিঁড়বে না।
বালিশের সঠিক কভার ব্যবহার না করলেও চুল পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সুতির বালিশের কভার ব্যবহার না করে স্লিকের কভার ব্যবহার করুন। স্যাটিনের কভারও ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।