আজকাল ওয়েব ডেস্ক: হঠাৎ করে 'ভাল্লাগে না' যেন এক সংক্রামক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।কোন কারণ ছাড়াই কারোর কথা শুনতে বিরক্ত লাগছে বা মনে হয় একা ঘরে আলো নিভিয়ে চুপ করে শুয়ে থাকতে।শরীরের থেকেও বেশি জটিল মন।এর রোগেই মানুষ আরও জেরবার।সারাদিনের ভালো লাগা মন্দ লাগা দিয়ে মানুষ এর অঙ্গুলি হেলনেই চলতে বাধ্য।

অন্দরে কখন হতাশা আর দুশ্চিন্তা উড়ে এসে জুড়ে বসে তা কেউ বলতে পারে না। বিশেষ করে আজকের এই ব্যস্ত জীবনে সাফল্যের পিছনে ছুটতে ছুটতে হতাশা কিংবা দুশ্চিন্তা গ্রাস করতেই পারে।অবশ্য সমস্যা যখন রয়েছে তার সমাধানও অবশ্য থাকবে।সবসময় ডাক্তারের কাছে গিয়ে ওষুধ খাবার প্রয়োজন নেই।কিছু বিষয় ঘরোয়া টোটকায় কমিয়ে ফেলা সম্ভব দুশ্চিন্তা বা হতাশাকে।

ল্যাভেন্ডারের গন্ধ মন শান্ত করে।শোয়ার সময় একটু বালিশে দু’ফোঁটা ল্যাভেন্ডালের এসেন্স লাগিয়ে দিতে পারেন অথবা স্নানের সময় জলে ল্যাভেন্ডারের এসেন্স মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে আরাম পাবেন।

এই দুই উপায়ে যেমন শরীর ফিট থাকে তেমনই মনও ভাল থাকে।পরিশ্রমের পর মাধ্যমে অনেক হতাশা-দুশ্চিন্তা বিষয় মন থেকে ঝেড়ে ফেলা সম্ভব হয়। আবার যোগাভ্যাসের মাধ্যমেও একাগ্রতা বাড়ে। ফলে যেকোনও বিষয়ে ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়।

কোনও বিশেষ কিছু নিয়ে টেনশন হলে অস্থির হবেন না৷ যে কোনও সমস্যার গুরুত্বই সময়ের সঙ্গে কমে৷কাজেই এই ঘটনার গুরুত্বও কমবে৷ নিজের কাজ করে যান৷ ফলাফল সব সময় আশানুরূপ নাও হতে পারে৷ তাই তা নিয়ে ভেঙে পড়বেন না।যে কোনও মুহূর্তে যা খুশি ঘটতে পারে৷ওলটপালট হয়ে যেতে পারে সব৷মনকে সে ভাবে তৈরি রাখুন৷সবার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করুন৷অন্যের দুঃখে দুঃখী হওয়া, অন্যকে সম্মান করা ইত্যাদি অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে, নিজের চেয়ে অন্যকে বেশি সময় দিলে ব্যক্তিগত টেনশন কম থাকে।

ঈর্ষা জাগলে সাবধান৷ টেনশনের এ এক বড় কারণ৷ ভেবে দেখুন ঈর্ষার কারণ কিন্তু সেই চাহিদা৷ আর এক জন কিছু পেয়েছে যা আপনি পাননি৷ কাজেই কী পাননি সেই হিসেবে না গিয়ে কী পেয়েছেন তার তালিকা বানান। এবং আরও কী কী পেতে চলেছেন তার ছবি সামনে রেখে এগিয়ে চলুন৷ কোনও ভাবনা কষ্ট দিলে তাকে কাটাছেঁড়া করুন৷কষ্টের ব্যাপার হলে কষ্ট হবে৷ তা মেনেও নিতে হবে। যা মানতেই হবে, তার জন্য আগে থেকে ভুল ভেবে কষ্ট পেয়ে কী লাভ?প্যারানয়েড ব্যক্তিত্বের মানুষ প্রচুর আছে সংসারে।