আজকাল ওয়েব ডেস্ক: ঠিক যেন তেঁতুল, কিন্তু তেঁতুল নয়। বৈজ্ঞানিক নাম পিথেসেলোবিয়াম ডুলস।স্বল্প পরিচিত এই ফল সম্পর্কে হয়তো অনেকেই অজানা।দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ফলকে ফলতে দেখা যায়।নামও অবশ্য তাই ভিন্ন। ম্যানিলা টামারিন্ড, জঙ্গলী জিলেপি বা মাদ্রাস থ্রোন,আলাদা আলাদা নামে এই ফলের পরিচিতি। কাঁচা অবস্থায় তেঁতুলের মতো দেখতে ফলটি জিলিপির মতো বাঁকা।পেকে গেলে অবিকল লাল বা হলদে রঙের জিলিপির মতো দেখায়, খেতেও হালকা মিষ্টি ও সুস্বাদু।
অতি সাধারণ এই ফল কিন্তু অসাধারণ প্রাকৃতিক উপাদানে সমৃদ্ধ। জানেন কি?ক্যান্সার প্রতিরোধে এই ফলের ভূমিকা আছে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত যে ম্যানিলা টামারিন্ড বা জঙ্গলী জিলিপির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ক্যান্সার উপাদান,যা শরীরে ক্যান্সারের কোষকে নষ্ট করে দেয় এবং ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করে।
আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির জন্য এই ফলকে ব্যবহার করা হয়। ম্যানিলা টামারিন্ড ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ভীষণ উপকারী।রোজ নিজের ডায়েটে এই ফল রাখলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে ভাল ফল পাওয়া যায়।
পাতিলেবুর মতোই ভিটামিন সি এর খনি হল এই জঙ্গলী জিলিপি।এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে ভীষণ কার্যকরী। হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে আপনার পেটকে রাখে সুস্থ ও আপনিও থাকবেন চনমনে।আমাশয় এবং দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া নিরাময়ে এই গাছের ছালের নির্যাস ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো দেখতে অতি সাধারণ এই ফল ১০০টিরও বেশি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। ভিটামিন সি এর পাশাপাশি আয়রন, পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট,ফ্যাট, ফসফরাস, প্রোটিনের মতো উপাদানগুলোও এই ফলে ঠাসা এই মাদ্রাসা থ্রোন।
ম্যানিলা টামারিন্ডকে খোসা ছাড়িয়ে কাঁচা অবস্থায় খেতে পারেন। অথবা এই ফলের জ্যাম তৈরি করে একে খেতে পারেন।সুস্বাদু ও পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর এই জঙ্গলী জিলিপি আপনাকে অনেক ধরনের রোগ-বালাই থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।
