আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে না পারলে একের পর এক সমস্যা লেগে থাকে। রোদের তাপ, দূষণ আর অযত্নেই ত্বকের বারোটা বাজে। কিন্তু সারাদিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় অনেক সময়েই ইচ্ছা থাকলেও রূপচর্চা সে ভাবে করা হয় না। কিন্তু নায়িকাদের মতো সৌন্দর্য পেতে কার না ইচ্ছে করে। দীপিকা পাড়ুকোনের উজ্জ্বল ও মসৃন ত্বক এবং ঝলমলে চুলের অধিকারী যদি হতে পারেন হয়। দীপিকার সৌন্দর্যের গোপন রহস্য এই পানীয়, যা নিয়ম করে এক মাস খেলেই আপনার ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য অটুট থাকবে। জানুন কীভাবে খাবেন।
কয়েকটি পুদিনাপাতা, নিমপাতা, কারিপাতা ও ধনেপাতাকে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। অর্ধেক বিটকে খোসা ছাড়িয়ে কুচিয়ে নিন। ব্লেন্ডারে সমস্ত রকম পাতা ও বিটের টুকরোগুলো দিয়ে দিন। ব্লেন্ড করে নিন। টানা তিন মাস সকালে খালি পেটে এক গ্লাস এই জুস খেলে আপনার ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং বি, এছাড়াও কারি পাতায় রয়েছে উপকারী প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এই উপাদানগুলি।
স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং চুলের ফলিকলকেও মজবুত করে কারিপাতা। অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায়, যার গুণে চুলের জেল্লা হয় দেখার মতো।
নিমের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের সমস্যা দূর করে। ব্রণ, একজিমা, শুষ্কতা, জ্বালা, লালভাব, অ্যালার্জির ফুসকুড়ি ইত্যাদি সমস্যায় নিম পাতা কাজে লাগে। ত্বক করে মসৃণ ও কোমল।
পুদিনাপাতায় রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লমেটরি গুণ। এবার সেই গুণের কারণেই ত্বকের সমস্যা দূর করতে পারে পুদিনা।
ত্বকে জেল্লা ও ফর্সাভাব আনতে ধনেপাতা খাওয়া বেশ ভাল। এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট যা ত্বকের যে কোনও সমস্যা দূর করার জন্যও ভাল।
বিটে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি, ফলে ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমায় ও ব্রণের প্রবণতা আটকায়। বিট জুস বা রস ত্বকের ব্রণের দাগ, বলিরেখা ও কালো ছোপ দূর করতে কাজে লাগে।
