আজকাল ওয়েবডেস্কঃ শীতে কাঁচা আমলকীর টুকরো, রস, রোদে শুকিয়ে রাখা আমলকী বা আচার যদি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকে তাহলে শীতকালীন রোগবালাই থেকে মুক্তি মেলে। এই ফল চুল থেকে ত্বক, সব কিছুর জন্য মহৌষধ। শুষ্ক ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে আমলকীর জবাব নেই। কিন্তু শুধু আমলকী নয়, এর সঙ্গে আরও কিছু উপাদান মিশিয়ে খেলে উপকার মিলবে দ্বিগুণ। এমনকি এই পানীয় কোরিয়ানদের গ্লাস চকচকে সৌন্দর্য ও ঘন চুলের গোপন রহস্য। জানুন কীভাবে বানাবেন। 

চার পাঁচটি আমলকীকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। সঙ্গে দিন কয়েক টুকরো আদা। স্বাদের জন্য আগে থেকে সাদা জিরে কে হালকা আঁচে নেড়ে রেখে দিন। এক চামচ জিরে দিন। কয়েক টুকরো গুড় ও পুদিনাপাতা দিয়ে দিন। এক গ্লাস জল ঢেলে দিন। ভাল মতো ব্লেন্ড করে নিন। ছেঁকে নিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে খেয়ে নিন।  মাত্র এক মাসেই আপনার ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ফিরে আসবে, রাতারাতি ত্বক হবে বলিরেখাহীন, চুল পড়া বন্ধ হবে। ইমিউনিটি শক্তিশালী করতেও মোক্ষম দাওয়াই এই পানীয়। 

আমলকীতে আছে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল। যা আপনার স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন  ও আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
আমলকী আপনার চুল ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চুলকে মজবুত রাখার পাশাপাশি কন্ডিশনিংও করে। তাই রুক্ষ ও শুষ্ক চুলে এই আমলকি বেশ কার্যকরী। স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখার জন্য এই আমলকির রস বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা ধরে রাখে। স্ক্যাল্পে পুষ্টির জোগান দেয়। চুলের গোড়া মজবুত করে ও  চুলে ফেরায় প্রাকৃতিক জেল্লা। গুড়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ। যা ত্বকে পুষ্টি জোগায় ও গ্লো আসে চেহারায়। ভিটামিন ও খনিজের গুণে ত্বকের প্রায় সব সমস্যাই মেটাতে পারে গুড়। শীতকালে নিয়মিত গুড় খেলে ত্বকের অ্যাকনে সমস্যা দূর হবে। গুড়ের অ্যান্টিএজিং গুণ ত্বকের বলিরেখা দূরে রাখতে সাহায্য করে। আদার রসে আছে অনেক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য, এগুলো মাথায় রক্তসঞ্চালন করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে আদার রস চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায়। এর ফলে চুল তাড়াতাড়ি ঘন হয়।