আজকাল ওয়েবডেস্কঃ শীত আসতেই ঘাম থেকে কিছুটা রেহাই মিলেছে ঠিকই কিন্তু স্বস্তি কি মিলেছে? চুলে ঘাম না বসলেও স্ক্যাল্পে খুলকি ভরে গেছে অনেকরই। হাত দিলেই গোছা গোছা চুল উঠছে? সৌন্দর্যের সঙ্গে জুড়ে থাকে মাথার চুল। প্রতিদিন আঁচড়ানোর সময় বা শ্যাম্পু করার সময় যদি একসঙ্গে অনেক চুল ওঠে , কারোরই মাথার ঠিক থাকে না। রাসায়নিক মিশ্রিত বিভিন্ন প্রসাধনীর ব্যবহার এবং সঠিক পরিচর্যার অভাবে ইদানীং চুল ক্রমশ রুক্ষ ও নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। কাজেই প্রায় সবাই-ই এখন চুলের সমস্যায় ভুগছে। শ্যাম্পু করার পরেও চুল ঠিক হয় না। উল্টে কিছুক্ষণ পরেই তা আবার রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। রুক্ষ ও ডগা ফাটা চুলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। ফলে অল্প সময়েই টাক পড়ে যেতে পারে। চুলের সমস্যার সামাল দিতে হেয়ার সিরাম, হেয়ার মাস্ক বা কন্ডিশনার ব্যবহার করলেও স্থায়ী সমাধানের জন্য নিয়মিত চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আর সেই বিষয়ে আপনি শুধুমাত্র ঘরোয়া উপায়েই ভরসা করতে পারেন। এই ঘরোয়া হেয়ার স্প্রে চুলের স্ক্যাল্পে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে। জেনে নিন কীভাবে বানাবেন।
প্যানে এক কাপ জল ফুটতে দিন। হালকা ফুটতে শুরু করলে এক চামচ করে মেথি দানা, চা পাতা ও কালোজিরে দিন। এক চামচ মতো পরিমাণে থেঁতো করা আদাও দিতে হবে। ১০-১৫টি কারিপাতা ও একটি গোটা পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে দিয়ে দিন। এইসব উপকরণগুলো ১০ মিনিট অল্প আঁচে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিন। একটি স্প্রে বোতলে ঢেলে রাখুন। চুল ধোওয়ার ১০ মিনিট আগে স্ক্যাল্পে স্প্রে করে নিন। তারপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুলের সমস্যাকে সমাধান করবে এই টোটকা।
ত্বকের মতো চুল ভাল রাখতে গেলেও মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা প্রয়োজন। মেথির মধ্যে রয়েছে লেসিথিন নামক একটি উপাদান, যা চুল এবং মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ কমায়। মেথির মধ্যে অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে। যা খুশকির হাত থেকে চুলকে রক্ষা করে। মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে চুলকানি বা র্যাশের সমস্যা হলেও তা কমিয়ে দিতে পারে মেথি। কালোজিরে অ্যান্টিহিস্টামিন এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এই ছোট কালো বীজ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। কালোজিরাতে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য থাকে। যা চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কারিপাতা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি ও এ। দুটোই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মুখ্য ভূমিকা নেয়।
