আজকাল ওয়েব ডেস্ক :  ত্বকে কোন দাগছোপ, অস্বাভাবিক চুল ঝরে পড়া বা সাংঘাতিক হজমের সমস্যা।হঠাৎ করে দেখা দেওয়া এই ধরনের সমস্যাকে কখনই হালকা ভাবে নেবেন না।পেটের গন্ডগোল বা ত্বক ও চুলের যে কোন সমস্যার জন্যে লিভারকে দায়ী করা হয়। জীবনযাত্রায় ব্যাপক অনিয়মের কারণে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা হয়। আসলে পেটের মেদ বাড়তে থাকার সঙ্গে লিভারের চারপাশে চর্বি জমার ঝুঁকিও কিন্তু বাড়ছে।তখন লিভারের সঠিকভাবে কাজ করার ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে আবার কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এই সমস্যাকে ফেলে রাখবেন না।লক্ষণ বুঝতে পারলেই সতর্ক হন।কিছু স্বাস্থ্যকর টোটকা জুড়ে দিন নিজের ডায়েটে।

লিভারের দেখভালে লেবুর বড় ভূমিকা আছে। ভিটামিন সি এর উৎস হল লেবু।এর সঙ্গে আদা যোগ করলে লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য একেবারে উপযুক্ত পানীয়।

একটি পাত্রে গোটা লেবুকে গোল গোল করে কেটে দিন। কয়েক টুকরো দারচিনি আর ৫০ গ্ৰাম আদা কুচিয়ে দিতে হবে।একটি সবুজ আপেলকে কুচি করে দিন। দু'কাপ জল দিয়ে ঢেকে প্রায় ১৫ মিনিট ফুটতে দিতে হবে।ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন এই পানীয়।অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের জোগান হিসেবে এবং ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে পাতিলেবু পরিচিত আছে।এতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড হজমশক্তিও বাড়ায়।ফলে লিভার থাকে সুস্থ।তেমনই সবুজ আপেলে রয়েছে ভিটামিন সি এর উৎস।পানীয়টি নিয়ম করে একমাস ডায়েটে রাখুন।

নিজের মধ্যে এক অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। লিভার থেকে সমস্ত টক্সিনকে বের করে ম্যাজিকের মতো কাজ করে এটি। 

লিভার হয় পরিষ্কার ও আপনি থাকবেন সুস্থ। তাছাড়া এই অসুখের ফাঁদ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে ডায়েট নিয়ে অবশ্যই নিজের যত্ন নিন। এক্ষেত্রে ডায়েটে রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে ফল, শাক এবং সবজি। এই সমস্ত খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। দুই উপাদান লিভার থেকে ফ্যাট বের করে দেওয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই সময় থাকতে নিজের ডায়েটের দিকে নজর ফেরান এবং বাড়াবাড়ি সমস্যায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।