আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম হলেই পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। পেটের সমস্যা সামলাতে শুধু মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড খেলেই চলবে না। বদল আনতে হবে রোজের খাদ্যাভ্যাসেও। সঠিক সময়ে খাবার খেতে হবে ও অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে। রোজের কিছু অভ্যাসের কারণেই পেট ফাঁপার সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তখন সবসময়েই মনে হয় পেট ভার। অসহ্য পেটের যন্ত্রণায় ছটফট করলে, পেট ফুলে শ্বাসের সমস্যার মত অবস্থা হলে সত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তার আগে ঘরোয়া এই টোটকায় ভরসা করে দেখতে পারেন। 

কয়েকটি রসুনের কোয়াকে কুচিয়ে নিন। তিনটি লেবুকে গোল টুকরো করে খোসা সমেত কেটে নিন। একটি কাচের জারে টুকরো করা সমস্ত লেবু ও রসুনগুলোকে দিয়ে দিন। এই উপকরণগুলো সম্পূর্ণভাবে ডুবে থাকবে এমন পরিমাণে অলিভ অয়েল ঢেলে দিন।
সঙ্গে দিন পাঁচ চামচ মধু। মিশ্রণটি ছয় থেকে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ফ্রিজে রেখে এক মাস খেতে পারেন। ভাল ফলাফল পেতে সারাদিনের প্রতিটি মিল অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনারের পাঁচ মিনিট আগে এক চামচ করে এই মিশ্রণ খেয়ে নিন। এতে প্রচন্ড খিদে কমে যায় এবং কম খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।

রসুন যে কোনোও ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে নষ্ট করতে পারে, এমনকি কোলন ক্যান্সারকেও প্রতিরোধ করে।এতে রয়েছে আন্টি ব্যাকটেরিয়াল, আন্টি ফাঙ্গাল, আয়রন, কপারের মত উপাদান যা অনেক রোগকে আপনার থেকে শতহস্তে দূরে রাখে।

লেবু ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে। কম করে, শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতেও এই লেবুর জুড়ি মেলা ভার। ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামেও সমৃদ্ধ লেবু। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসের জোগান হিসেবে এবং ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে লেবু খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত হওয়ায় পাতিলেবুর রস ডায়াবেটিক রোগীদের পক্ষে উপকারী। উচ্চ রক্তচাপযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে লেবুতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ভাল কাজে দেয়। তা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও কমায়।