আজকাল ওয়েবডেস্কঃ মুখে কোনও ব্রণ নেই, দাগছোপও প্রায় চোখেই পড়ে না। কিন্তু সৌন্দর্য নষ্ট হয় শুধু এক জায়গায়। চোখের চারপাশে জুড়ে কালচে ভাব। ডার্ক সার্কেলই কেড়ে নিচ্ছে আপনার সমস্ত জেল্লা। ঘুম না হলে, অত্যধিক মানসিক চাপ বা শরীরে জলের ঘাটতি হলে ডার্ক সার্কে‌লের সমস্যা বাড়ে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে এই ডার্ক সার্কেল জেনেটিক্সও হয়। বয়স বাড়লে বার্ধক্যের লক্ষণ হিসেবেও দেখা দেয় ডার্ক সার্কেল।
ডার্ক সার্কেল দূর করে এমন ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নেওয়ার সময় এসেছে। দামি কোম্পানির ডার্ক সার্কেল দূর করার ক্রিম ব্যবহার করেও বিফল হচ্ছেন বার বার। তাই এই ঘরোয়া উপায়ে একেবারে নিখরচায় তৈরি করে নিন এই ক্রিম। জানুন কীভাবে বানাবেন।

একটি ছোট্ট এয়ারটাইট কাচের জারে এক চামচ ভেসলিন নিন। সঙ্গে দিন অর্ধেক চামচ হলুদগুঁড়ো, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও দু'চামচ অ্যালোভেরা জেল। সমস্ত উপকরণগুলো ভাল মতো মিশিয়ে পেস্ট আকারে তৈরি করে নিন। এই ক্রিম আপনি এক মাস রেখে ব্যবহার করতে পারেন। রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ক্রিম চোখের চারপাশে ও বলিরেখার উপর লাগিয়ে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন। 
আপনার চোখের সৌন্দর্য ও জেল্লা ফিরে আসতে বাধ্য।
শীতের শুষ্ক আবহাওয়া থেকে বাঁচতে পেট্রোলিয়াম জেলির ঠোঁটকেই শুধু ময়েশ্চারাইজ করে তা নয়, শরীরের বিভিন্ন অংশকে স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। চোখের নিচে ও চারপাশের চামড়া ভীষন নরম হয়। ভেসলিন তাকে টানটান রাখতে সাহায্য করে।অ্যালোভেরায় আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস। যা ত্বকের গভীরে যায়। ত্বকের গভীরে পুষ্টি জোগান দেয়। আপনার ত্বক পরিষ্কার ও  টক্সিনমুক্ত রাখে। ব্রণর সমস্যাও কম করে। হলুদে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিনের মতো উপাদান থাকে। তাই, ত্বকের যত্নে হলুদ ব্যবহার করা যায়। 
হলুদ ব্যবহার করলে ত্বকের জেল্লা বেড়ায়, ব্রণের সমস্যা কমে, রোদা পোড়া কালচে ভাব দূর হয়।এতে উপস্থিত কারকিউমিন উপাদান ত্বককে বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করে।