আজকাল ওয়েবডেস্কঃ মুখে ট্যান পড়লে তা ধরা খুব সহজ। তাই নিয়ে চিন্তার অন্ত থাকে না। শরীরের অন্যান্য অংশ ট্যান পড়লে সচরাচর বোঝা যায় না। যেমন পায়ের পাতায় ট্যান পড়লে সিংহভাগ সময়ে তা চোখ এড়িয়ে যায়। বাহারি জুতোর সঙ্গে পায়ের পাতায় ট্যান একেবারেই মানানসই নয়। পাতের পাতার যে অংশটুকু জুতো দিয়ে ঢাকা নেই সেখানটাই বড়সড় কালচে ছোপ পড়ে যায়। মুখের কালচে দাগছোপ তোলার জন্য আমরা যত না কসরত করি, পায়ের কালচে দাগ তোলার জন্য ততটা করি না। কখনও মনে হলে সাঁলোতে গিয়ে পেডিকিয়োর করালেন। একগাদা রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনী ব্যবহার করাটাও তো কাজের কথা নয়। তাতেও যে সব দাগ একবারে উঠে যাবে তা-ও নয়। ত্বক চিকিৎসকেরা বলছেন, চড়া রোদ, বাইরের ধুলো ময়লা লেগে পায়ের পাতায় খুব তাড়াতাড়ি কালচে ছোপ পড়ে যায়। আবার পা পরিষ্কার না করার ফলে ময়লার একটি পুরু স্তর জমে যায়। পা ঢাকা জুতো যাঁরা পরেন না, তাঁদের পায়ের পাতায় চটজলদি ট্যান পড়ে যায়। এই অবস্থায় প্রসাধনীই যথেষ্ট নয়। দরকার পায়ের ত্বকের বাড়তি যত্ন। ট্যান দূর করতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করলে উপকার পেতে পারেন। এতে ট্যানও দূর হবে এবং ত্বকও উজ্জ্বল হবে। কী ভাবে দূর করবেন সেই ট্যান? রইল ঘরোয়া উপায়।
একটি বাটিতে যে কোনও শ্যাম্পুর একটি ছোট গোটা প্যাকেট কেটে দিন। সঙ্গে এক পাতা ইনো দিতে হবে। মিশিয়ে নিন। এবার এক চামচ করে দাঁত মাজার পেষ্ট ও বেকিং সোডা দিন। একটি থকথকে পেষ্ট তৈরি করার মতো পরিমাণের ঈষৎ উষ্ণ গরম জল দিতে হবে। সমস্ত উপকরণগুলো ভাল মতো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। একটি পুরনো দাঁত মাজার ব্রাশ দিয়ে মিশ্রণটি পায়ের পাতায় লাগিয়ে নিন। দু'মিনিট ঘষুন। কিছুক্ষণ এইভাবে রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সাতদিনেই আপনার পায়ের পাতার ত্বক চকচকে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
ত্বককে এক্সফোলিয়েট করার পাশাপাশি ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে বেকিং সোডা। মূলত ত্বককে গভীর ভাবে পরিষ্কারে সাহায্য করে। ত্বকের উপর জমে থাকা অতিরিক্ত তেল, ময়লা, জীবাণু পরিষ্কারে বেকিং সোডা দারুণ উপকারী। এটি মৃত কোষও পরিষ্কার করে দেয়।
