আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইনত ভারতে পরকীয়া কোনও অপরাধ নয়। তবে সমাজে বিষয়টিকে নিয়ে বাস্তবিকই নানা ধরনের মতামত রয়েছে। কিন্তু পক্ষে হোক বা বিপক্ষে, পরকীয়া নিয়ে মানুষের আগ্রহে কিন্তু কোনও কমতি নেই। এমনকী বেশ কিছু ডেটিং সাইটও রয়েছে, যেখানে পরকীয়ার খোঁজে যান বহু মানুষ। তেমনই একটি সাইট অ্যাশলি ম্যাডিসন। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষিয়ে বিশ্বব্যাপী পরিচিত এই ডেটিং সাইট সম্প্রতি এমন এক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, যা নিয়ে বড় ধরনের চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ভারতে। পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে কোন শহরে পরকীয়া কত বেশি।
এই তালিকার ২০২৫-এর তথ্য অনুযায়ী, তামিলনাড়ুর ছোট্ট শহর কাঞ্চিপুরমকে ভারতের ‘পরকীয়ার রাজধানী’র তকমা দেওয়া হয়েছে। গত বছর ১৭তম স্থানে থাকা এই শহরটি এ বছর একেবারে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে। পরকীয়ার সংখ্যা এমন বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ সংস্থাটি নির্দিষ্ট করে না জানালেও, বিশেষজ্ঞদের মতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শহরগুলিতে অ্যাপটির জনপ্রিয়তা বাড়ার ফলেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর সুযোগ বেড়েছে। তবে, তালিকায় প্রথম ২০ টির মধ্যে ন’টি স্থান দখল করে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে দিল্লি-এনসিআর অঞ্চল। অর্থাৎ দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশের নয়ডা সংলগ্ন অঞ্চলে রমরমিয়ে চলছে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক।
আরও পড়ুন: শুক্রাণু দান করে কত টাকা আয় হয়? ভারতে বীর্য দাতা হতে গেলে কোন কোন নিয়ম জানতে হবে?
আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় মরেননি, জেতেন ৫ কোটির লটারি! সাতবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা বিশ্বের সবচেয়ে ‘লাকি’ ব্যক্তি ইনি
তালিকায় দিল্লি-এনসিআর-এর ন’টি অঞ্চল রয়েছে সেন্ট্রাল দিল্লি, দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লি, পূর্ব দিল্লি, দক্ষিণ দিল্লি, পশ্চিম দিল্লি এবং উত্তর-পশ্চিম দিল্লি। এর মধ্যে সবচেয়ে উপরে সেন্ট্রাল দিল্লি। এছাড়াও তালিকায় আছে গুড়গাঁও, গাজিয়াবাদ এবং গৌতম বুদ্ধ নগর (নয়ডা)। দেশের রাজধানীর যখন এমন অবস্থা তখন অন্যদিকে চমকে দিয়েছে বাণিজ্যনগরী মুম্বই। গত বছর এই তালিকায় দু’নম্বরে থাকলেও এবছর প্রথম কুড়িতে নেই এই শহর। তালিকায় জয়পুর, চণ্ডীগড়, রায়গড় এবং কামরূপের মতো অপেক্ষাকৃত ছোট শহর বা মফস্বলও জায়গা করে নিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতের ছোট শহরগুলিতে পরকীয়ার ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে তুলে ধরেছে এই সমীক্ষা।
এই প্রসঙ্গে অ্যাশলি ম্যাডিসনের চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার পল কিবল বলেন, “আধুনিক সম্পর্ককে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার ক্ষেত্রে ভারত নতুন পথ দেখাচ্ছে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া অর্ধেকেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পরকীয়ার কথা স্বীকার করেছেন।” তিনি বলেন, “গোটা বিশ্বের ছবিটা দেখলে ভারত ইতিমধ্যেই ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।” চলতি বছরের শেষের দিকে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মত তাঁর।
ভারতের পরকীয়ার হার কত? এই নিয়ে এপ্রিলে অ্যাশলি ম্যাডিসনের প্রকাশ করা একটি সমীক্ষায় এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে আসে। সেই সমীক্ষায় দেখা যায়, ৫৩% ভারতীয় কোনও না কোনও পর্যায়ে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করার কথা স্বীকার করেছেন। প্রসঙ্গত, অ্যাশলি ম্যাডিসন একটি কানাডিয়ান-ফরাসি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এবং ডেটিং সাইট। সাইটটি প্রথম চালু হয় ২০০২ সালে। ভারতে অ্যাপটি খুব বেশিদিন আগে না এলেও বিপুল সংখ্যক ভারতীয় ইতিমধ্যেই এতে সাইন-আপ করেছেন। কিবলের জানান, সাইন-আপের নিরিখে ভারত বিশ্বে অষ্টম স্থানে রয়েছে। গোটা দেশের মতোই বিষয়টি নিয়ে যা বাঙালিরও আগ্রহ কম নয়, তারও প্রমাণ মিলেছে সমীক্ষায়। তালিকায় ১৩ নম্বর স্থানে রয়েছে কলকাতা!
