আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ পেট ভালো থাকলে সব ভালো থাকে।আর যারা পেটের সমস্যায় ভুগতে থাকেন, তাঁদের সমস্যার কোনও অন্ত নেই।তালিকায় রয়েছে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, অরুচি, ডায়ারিয়া।তবে এই সবের মধ্যে আলাদা করে কোষ্ঠকঠিন্যের কথা বলতেই হয়।এই অসুখটি বহু সমস্যার কারণ।
খাবার খেলে সেই খাবার পাকস্থলী, অন্ত্রে শোষিত হয়।তারপর তা মলদ্বারের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসে।এই প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে না হলেই কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি হয়।তবে চিন্তা নেই, কয়েকটি খাবারেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।পেটের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে।
ভিটামিন সি এর উৎস হল লেবু। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জলে লেবুর রস বা লেবুর টুকরো দিয়ে খেয়ে নিন।এটি হজম ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে , পেট ফাঁপা বা ফুলে যাওয়াকে উপশম করে।লিভারের কার্যক্ষমতাকেও বৃদ্ধি করে লেবু জল।
আদা চা বা আদা জল দিয়ে দিন শুরু করলে পেটের সংক্রমণ ও প্রদাহকে দূর করতে পারে।মুখ থেকে মলদ্বার পর্যন্ত সমস্ত হজমের প্রধান অঙ্গগুলিকে সুষ্ঠভাবে কাজ করতে সাহায্য করে এই জল।খালি পেটে খেলে উপকার পাবেন দ্বিগুণ। তাছাড়া পেটের অস্বস্তিবোধ ও পেট ফাঁপা থেকেও রেহাই দেয়।রোজ সকালে চায়ের জলে চা পাতার সঙ্গে সামান্য আদা কুচিয়ে দিয়ে ফুটিয়ে নিন।এই আদা চা আপনার রোজের ডায়েটে রাখুন। কয়েকটি আদার টুকরোকে গোল করে কেটে জলে ফুটিয়ে নিয়ে আদা জলও খেতে পারেন। পেটের উপকারে সিদ্ধহস্ত এই পানীয়।
শশার অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান পেট ফাঁপা, গ্যাস অম্বল থেকে মুক্তি দেয়। টক্সিনকে বেড় করে শরীরকে রাখে হাইড্রেট ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও নির্মূল হয়।সকালে প্রথমেই শশার স্মুদি বা জলে শশা দিয়ে খেলে হজমের গোলমাল সেরে যায়।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের প্রোবায়োটিক উপাদান হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে পেটে অ্যাসিড তৈরিতে বাধা দেয়।পেট ফুলে যাওয়াকে উপশম করে এবং অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সকালে একদম খালি পেটে এক চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে মিশিয়ে রোজ খাওয়া অভ্যাস করুন। পেটের সমস্যায় জেরবার হতে হবে না।
গ্যাসের সমস্যার মোকাবিলা করতে পুদিনা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন।পেটের সমস্যাকে ভিতর থেকে সুস্থ করতে পুদিনা কিন্তু কাজে আসতে পারে।পেট ফাঁপা, গ্যাস, অম্বল, বমি বমি ভাবের মতো কিছু সমস্যার ওষুধ হতে পারে এই পাতা।পুদিনা পাতা ভিজিয়ে সেই জলটি খালি পেটে খেতে পারেন, সুফল পাবেন।পুদিনা পাতা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিভাইরাস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক গুণে ভরপুর।যা স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে সাহায্য করে।গ্যাস ও অ্যাসিডিটি থেকে রেহাই পেতে এটি খুবই উপকারি।
অসম্পূর্ণ ডায়েট, পরিমিত জল না খাওয়া, চলাফেরায় অনিহা ও অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।পেট ভালো যাঁর, সব ভালো তাঁর। আর যাঁরা পেটের সমস্যায় ভুগতে থাকেন, তাঁদের সমস্যার কোনও অন্ত নেই। পেটের কত-শত রোগ!তালিকায় রয়েছে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, অরুচি, ডায়ারিয়া।তবে এই সবের মধ্যে আলাদা করে কোষ্ঠকঠিন্যের কথা বলতেই হয়।এই অসুখটি বহু সমস্যার কারণ।
