আজকাল ওয়েব ডেস্ক: সকালে ঘুম চোখ খুলেই সারাদিনের রুটিনকে মনে সাজিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়া। অফিসের ব্যস্ততা, সংসারের খুঁটিনাটি, ভাল মন্দ পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে বাড়ির অবহেলা করছেন না তো? পরিষ্কার করার সময়ই পাচ্ছেন না একদম! ঘর পরিষ্কার করাকে এবার আরও সহজ করে নিন। রইল গৃহকোণ ঝকঝকে করার টিপস।

আসবাবপত্র পরিষ্কার করার জন্য পাতলা কাপড় ব্যবহার করুন। কাঠের আসবাব হলে কাপড় ভিজিয়ে মুছবেন না। এতে পালিশ নষ্ট হয়। শুকনো কাপড় বা ছোট ঝাড়ন দিয়ে সাফ করুন। এতে আসবাবপত্রে লেগে থাকা ময়লা জলদি দূর হবে। পেলমেট থাকলে সেটাও ঝেড়ে নিন। ঘরের মেঝেতে কার্পেট থাকলে তার উপর বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন। কিছুক্ষণ রেখে ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। দেখবেন দুর্গন্ধ দূর হয়েছে। সোফাসেটের উপর ভ্যাকুইম চালিয়ে নিন।

প্রথমেই ব্যস্ত শিডিউল থেকে একটা লিস্ট তৈরি করে নিন। কোনদিন কোনদিকটা বা কোন ঘরটা পরিষ্কার করবেন। এবার সপ্তাহের একেকটা দিন টাইম বের করে সেটা করার চেষ্টা করুন। বাড়ির সদস্যের মধ্যে কাজের লিস্টকে দিন ও কাজ অনুযায়ী ভাগ করে দিন। এতে সময়ও বাঁচবে, পরিশ্রম কম হবে। তবে একদিনেই গোটা বাড়ির ময়লা পরিষ্কার করার ঝক্কি নেবেন না। এতে আপনার উপর চাপ পড়বে। সিলিং ফ্যান পরিষ্কারের সময় মাথায় এবং নাকে কাপড় বেঁধে লম্বা ঝুল ঝাড়ু নিয়ে পরিষ্কার করুন।

কার্পেটে যদি খাবারের দাগ লেগে যায়, তা হলে তা তুলতে ভিনিগার ব্যবহার করতে পারেন। দাগ লাগা জায়গায় কয়েক ফোঁটা ভিনিগার ঢালুন। তার পর হালকা তরল সাবানে একটি সুতির কাপড় ভিজিয়ে তা দিয়ে দাগের জায়গা ভাল করে মুছে নিন। ছোটদের ঘরে কার্পেট থাকলে তার উপর পেনের কালি বা রং পেনসিলের দাগ লেগে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে কার্পেটের দাগ লাগা জায়গায় ভিনিগার স্প্রে করুন। এর পরে নরম কাপড় দিয়ে জায়গাটি পরিষ্কার করুন। দাগ উঠে যাবে।

নোংরা পোশাক এদিক ওদিক পড়ে থাকলে সেটা সবচেয়ে দেখতে খারাপ লাগে। তাই বাজার থেকে একটা সুন্দর লন্ড্রি ব্যাগ কিনে ঘরের এক কোণে রাখুন। যাবতীয় পোশাক যেগুলো ধুতে হবে, এখানে জমিয়ে রাখুন। আলাদা একটা বাক্স বা ড্রয়ারে যাবতীয় কাগজ, ওষুধ, জরুরি জিনিস গুছিয়ে রাখুন। টেবিলের উপর বা খাটের পাশের ছোট্ট জায়গায় এগুলি ফেলে রাখবেন না। দেখতে খুব খারাপ লাগে।