আজকাল ওয়েবডেস্ক : ঠিকঠাক পেন্সিল ধরতে না পারার কারণে ও হাত স্থির রাখতে না পারলে সন্তানের হাতের লেখাও হয় বাঁকা ও অস্পষ্ট। বেশি অভ্যাসের মাধ্যমে বাচ্চাদের হাতের লেখা সুন্দর, স্পষ্ট ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়। কিন্তু এমন অনেক বাচ্চাই আছে, যাদের হাতের লেখা প্রাথমিক শিক্ষা পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও সুন্দর ও স্পষ্ট নয়। সময় থাকতে সংশোধন না-করলে ছোটবেলার এই হাতের লেখাই সারাজীবন থেকে যায়। 

শিক্ষাজীবন শেষ না করা পর্যন্ত পেন-পেন্সিল ছাড়া গতি নেই। তাই সুন্দর হাতের লেখার জন্য সঠিক রাইটিং টুলস নির্বাচন করা জরুরি। বাচ্চাদের জন্য পেন, পেন্সিল, নোটবুক কেনার সময় এ দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আবার কারও কারও মতে বল পেনে হাতের লেখা খারাপ হয়। কিন্তু এমন হতেই পারে যে আপনার সন্তান বল পেনে সুন্দর ভাবে লিখতে পারে। প্রত্যেকের লেখার ধরন পৃথক। তাই যে পেনই ব্যবহার করুক না কেন, তার গ্রিপ যাতে ভালো হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সঙ্গে পেন্সিলের গ্রিপও ভালো হতে হবে।

অক্ষর বোঝাতে একটু সময় লাগে। সন্তানকে প্রথমে ভালো ভাবে অক্ষর বোঝান। কোনও একটি শব্দের প্রতিটি অক্ষরের সঙ্গে তাদের পরিচিতি করান। এক একটি অক্ষর লেখানোর পর পুরো শব্দ লেখান। এতে তাড়াহুড়ো করবেন না। স্কুল পড়ুয়াদের জন্য অভিভাবকরা সাদা বোর্ড ও মার্কার ব্যবহার করতে পারেন। অভিভাবকরা বোর্ডে লিখে প্রতিদিন বাচ্চাদের অভ্যাস করাতে পারেন।

বাচ্চারা মুখে মুখে পড়তে চাইলেও লিখতে চায় না। তাই প্লে স্কুলে যাওয়া শুরু করলেই তাদের লেখার অভ্যাস করান। প্রতিদিন এক পাতা করে লেখান। ভুল লিখলে তা সংশোধন করান। এভাবে নিজের ভুল থেকে শিখতে তাদের হাতের লেখা সুন্দর ও স্পষ্ট হবে।

বাচ্চার হাতের লেখা খারাপ হলে, তাদের বকাঝকা বা অন্যের সঙ্গে তুলনা করার পরিবর্তে বোঝানোর চেষ্টা করুন। ওভার রাইটিং, অধিক কাটাকুটি যাতে না করে তার জন্য অনুপ্রাণিত করুন। কিছু ভুল হলে তা ঠিক করার জন্য একটি লাইনই যথেষ্ট। ভালো হাতের লেখার জন্য তাদের প্রশংসা করুন, পুরস্কৃতও করতে পারেন।