আজকাল ওয়েব ডেস্ক: বর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন ল্যাপটপের যথেচ্ছ ব্যবহার প্রায় প্রতিটি বয়সের স্তরেই শুরু হয়েছে। অপরিমিত স্ক্রিনিং টাইম শিশুদের চোখের প্রধান শত্রু হিসেবে দাঁড়িয়েছে।অভিভাবকের সাথে সময় কাটানো,গল্প করা,মনের ভাব আদান প্রদান কোনটাই এই জেনারেশনের শিশুর কাছে সহজলভ্য নয়,সঠিক পরিমাণে বড়দের সময় না পাওয়ায় তারা সম্পূর্ণরূপে গ্যাজেট নির্ভর হয়ে পড়েছে। ফলস্বরূপ চোখের প্রভূত সমস্যা, কম বয়স থেকেই ভোগাতে শুরু করছে।

কোভিড পরবর্তীকাল থেকে অনলাইনে পড়ার নিয়মানুবর্তিতা সমাজের বেশিরভাগ স্তরে শুরু হয়েছে। অভিভাবকেরা পড়ানোর সুবিধার্থে মোবাইলে পড়া লিখে বা ছবি তুলে এনে তাদের সন্তানকে পড়াচ্ছেন। অনেক শিক্ষকরাও সিলেবাস মোবাইলে পাঠিয়ে দেন। ফলে শিশুদের মোবাইলের প্রতি আসক্তি উত্তরোত্তর বেড়ে চলে যায়। মোবাইল টিভি ল্যাপটপের ক্রমশ ব্যবহারে এসবের রেডিয়েশন শিশুদের বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কর্মরত অভিভাবকেরা বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে সন্তানদের রেখে গেলে দেখা যায় বাড়ির বড়রাও কম বেশি টিভি ও মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকে। তার সুযোগ নিয়ে শিশুটিও স্মার্টফোনে ব্যস্ত হয়ে যায়। আজকালের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার চাপে অন্যান্য খেলাধুলা শারীর বৃত্তীয় কার্যক্রম প্রায় হারিয়ে গেছে। ফলে তাদের চিন্তা করার ক্ষমতা লোপ পেয়েছে।

সারাদিন তাদের চোখের বিশ্রামের ঘাটতি হওয়ায় চোখের পেশী সমূহ প্রচন্ডভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। তাছাড়া মাথার মধ্যে ভীষণভাবে যন্ত্রণা শুরু হয় চোখ দিয়ে জল পড়ে ও লাল হয়ে যায়।

শিশুদের স্ক্রিনিং টাইম কমিয়ে পরিমিত করতে হবে। শরীরচর্চা বিভিন্ন খেলার প্রতি অভ্যাসের প্রতি শিশু মনের আগ্ৰহ বাড়াতে হবে। খেলাধুলা বা বিভিন্ন শারীরিক কসরতের মধ্যে থাকলে মস্তিষ্ক থেকে এন্ডোরফিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। যার দ্বারা শিশুর বিভিন্ন অঙ্গে তার প্রভাব ফেলে শিশুকে সুষ্ঠু সবল দেহের অধিকারী করতে সাহায্য করে।সাথে মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ঘটে। 

পড়াশোনার পাশাপাশি একভাবে অলস মস্তিষ্কের মতো মোবাইল নিয়ে এক জায়গায় বসে না থেকে কিছু উদ্ভাবনী সৃষ্টিমূলক কাজের সাথে শিশুদের যুক্ত করতে পারলে শিশুমন চনমনে থাকবে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি সমান্তরাল ভাবে পরিণত হবে। অপরিষ্কার হাত সর্বদা ভালো করে ধুয়ে চোখে হাত দেওয়া উচিত নতুবা এই জীবাণু থেকেই চোখে ইনফেকশনে সৃষ্টি হয়। মোবাইল ল্যাপটপের আসক্তি কমাতে পারলে সারাদিনের পড়াশোনার পর চোখের বিশ্রাম দরকার ।

অনাকাঙ্ক্ষিত মাথা ব্যথা বা মাথার কষ্ট থেকেও রেহাই পাওয়া যায় মস্তিষ্কের ক্লান্তি কমাতে পারলে রাতের ঘুম ভালো হয়। সন্তানের সুষ্ঠু শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অভিভাবকের ভূমিকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

চোখের জন্য সুষম খাদ্যের ভূমিকাও সমানভাবে দরকার টাটকা ফল,শাকসবজি যেমন পেঁপে গাজর বিট, ডাল ডিম মাংস প্রভৃতি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়ানো উচিত। শিশুদের চোখের পাওয়ার হলে বা উপরিউক্ত সমস্যা সূত্রপাত হলে সত্বর চক্ষু বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।