আজকাল ওয়েব ডেস্ক: পুজোর আনন্দ তো ছোটদেরই। বছরের এই কয়েকটি দিনেই বাঁধন ছাড়া মজা, হুল্লোর করেই তো কেটে যায় ছোট্ট সদস্যদের।ফুচকা, ঝালমুড়ি, চিপস্ থেকে শুরু করে রোল মোমো বিরিয়ানি, বাদ যায় না কিছুই।

কিন্তু পুজো শেষ হতেই হঠাৎ করে বমি, জ্বর, পেটে ব্যথা ও ডায়রিয়ায় মতো শরীর খারাপ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে কষ্টের শেষ থাকে না।টানা চার পাঁচ দিনের অসুস্থতায় খাওয়া দাওয়াও প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।এই পরিস্থিতিতে বাবা মায়ের কি করণীয় জেনে নিন।

মরসুম বদলের সময়ে বাতাসে ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে যায়।যে কোনও অনিয়ম হলেই এদের আক্রমণ শরীরকে কাহিল করে দেয়।বাইরের খাবার থেকে বিষক্রিয়া হয়ে ডায়েরিয়া হতে পারে।সেক্ষেত্রে ভাইরাল ডায়েরিয়া হওয়ারই আশঙ্কা থাকে।বার বার পাতলা মলত্যাগ ছাড়াও মলের সঙ্গে রক্ত পড়া, পেটে অসহ্য ব্যথা, বমি হতে পারে। তবে ডায়েরিয়ার সবচেয়ে গুরুতর লক্ষণ হল জলশূন্যতা। ডিহাইড্রেশন ঠেকাতে বাচ্চাকে দিন ওআরএস।কিছু খেতে না চাইলে একটু করে চিঁড়ে সিদ্ধ খাওয়াতে পারেন। ডায়রিয়ায় অন্যতম পথ্য এটি।খুব তাড়াতাড়ি কাজেও দেয়।এই সময়ে বমিভাব থাকেই।তাই ভাত বা অন্য খাবার খেতে না পারলে, শিশুকে নুন-চিনি দিয়ে সিদ্ধ চিঁড়ে খাওয়াতে পারেন। বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ভাত দিলে তার সঙ্গে কোনও রকম ডাল বা তরকারি দেবেন না।নুন, লেবুর রস ও চিনি দিয়ে ভাত চটকে মেখে তা-ই খাওয়ান শিশুকে।এতে শরীর ও পেট উভয়ই ঠাণ্ডা হবে।

ডায়েরিয়ায় প্রোবায়োটিক্‌স খুব ভাল কাজে দেয়। এখন চিকিৎসকেরা শিশুদের পেটের সমস্যায় প্রোবায়োটিকের স্যাচে জলে গুলে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাছাড়া টক দই দেওয়া যেতে পারে।তবে দুধ বা দুগ্ধজাত কোনও খাবারে অ্যালার্জি থাকলে দেবেন না।

ডায়রিয়ায় প্রধান লক্ষণ জলশূন্যতা। ঠিক মতো প্রস্রাব না হওয়া, শিশুর মধ্যে আলস্য ভাব, চোখের চারপাশ বসে যাওয়া, জিভ-ঠোঁট-গালের ভিতরের চামড়া শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি।এমন কিছু লক্ষণ দেখলেই সত্বর চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

বাড়িতে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।পাশাপাশি শিশুদের খাওয়ানোর আগে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন।নখের তলা এবং আঙুলের ফাঁকের দিকে বিশেষ নজর রেখে হাত ধোয়ার দরকার।এছাড়া, নজর রাখতে হবে বাসনপত্র পরিষ্কার রাখার দিকেও। শিশুরা স্কুলে শৌচাগার ব্যবহার করার পরে এবং খাওয়ার আগে হাত সাবান দিয়ে ধোয়ার অভ্যেস করানো জরুরি।

পাশাপাশি নজর দিতে হবে নিরাপদ পানীয় জলের দিকেও।জলের শুদ্ধতা নিয়ে সন্দেহ থাকলে জল ফুটিয়ে ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।