আজকাল ওয়েবডেস্ক: নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সংসদে উপস্থিত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ এথিক্স কমিটির সামনে হাজির হন তিনি। এদিকে মহুয়ার উপস্থিতি নিয়ে কী বলছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই? জয় সাফ জানিয়েছেন, ‘কাউকে ভয় পান না।" ক্যাশ ফর কোয়েশ্চন অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করা প্রসঙ্গে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল দেশের রাজনীতি। এই চর্চা মূলত মহুয়া মৈত্রকে কেন্দ্র করেই। এর আগেই ২৬ অক্টোবর গেরুয়া শিবিরের সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং জয় অনন্ত দেহাদ্রাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সংসদের এথিক্স কমিটি। তারপরেই তলব করা হয় মহুয়াকে। মহুয়া মৈত্র হাজিরা দেওয়ার আগেই সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, লোকসভার এথিক্স কমিটি ফৌজদারি বিষয়ক তদন্ত করতে পারে না। তার জন্য পৃথক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রয়েছে। মহুয়া এও লিখেছেন, ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানি, যিনি তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হলফনামা দিয়েছেন, তাঁকেও তিনি প্রশ্ন করতে চান। হিরনন্দানির কাছে সাংসদের লগ ইন ইনফরমেশন রয়েছে একথা ইতিধ্যে স্বীকার করে নিয়েছেন মহুয়া নিজেই। সঙ্গেই তিনি পালটা যুক্তি দিয়ে বলেছিলেন এমন কোনও নিয়ম নেই, যে লগইন ইনফরমেশন কাউকে দেওয়া যাবে না। । অন্যদিকে জয় দেহাদ্রাইয়ের সঙ্গে এই প্রসঙ্গ ছাড়াও পোষ্য হেনরির কাস্টাডি নিয়ে বিবাদ চলছে তৃণমূল সাংসদের। উল্লেখ্য, মহুয়া এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দেওয়ার কয়েকঘন্টা আগে একটি পোস্ট করেছিলেন জয়। সেখানে তিনি লেখেন, যে দুর্নীতি এবং জাতীয় সুরক্ষার সঙ্গে আপোস করার অভিযোগে অভিযুক্ত, তিনি আসলে আরও বড় দোষী।‘ সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘এবং না, আমি আমার কুকুর চুরি যাওয়ার কথা বলছি না।‘ যদিও এই পোস্টে কোথাও জয় মহুয়ার নামের উল্লেখ করেননি, তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে ইঙ্গিত তৃণমূল সাংসদের দিকেই।
