আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার চলছে। কিন্তু ইউনূস জমানায় মাঝে মাঝেই উত্তাল হচ্ছে ঢাকা। ২৩ অক্টোবর ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরেও ছাত্র সংঘর্ষ থামার কোনও লক্ষণ নেই। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার, দুই ভিন্ন ঘটনায় দফায় দফায় উত্তাল সে দেশের রাজধানী।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার যে দুই ছাত্রদল দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, সেই দুই দল সে দেশের রাজনীতেতে মূলত হাসিনা বিরোধী ছাত্র সংগঠন বলে পরিচিত। কোটা সংস্কারের আন্দোলনে এই দুই দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত ছিল। ঢাকা কলেজ এবং সিটি কলেজের দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বুধবার। ইট ছোড়া থেকে শুরু করে বচসা গড়ায় বহুদূর। ঘটনায় আহত হয়েছেন বহু পড়ুয়া।
এই সংঘর্ষ থামলেও, বৃহস্পতিবার ফের উত্তাল ঢাকা। এদিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা। নিজেদের একগুচ্ছ দাবি নিয়ে ঢাকার সড়ক এবং রেলপথ অবরোধ করেন তাঁরা। বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, ব্যাটারিচলিত রিকশা নিয়ে হাইকোর্ট যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, তার প্রতিবাদেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আন্দোলন শুরু করেন ব্যাটারিচলিত রিকশা চালকরা। ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল পরিস্থিতি।
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে সে দেশের হাইকোর্ট ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে সিদ্ধান্তে জানিয়েছিল, হয় ওই রিকশার চলাচল বন্ধ করতে হবে, অন্যথায় নিয়ন্ত্রণ করা হবে গতিবিধি। ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা শহরকে একপ্রকার স্তব্ধ করেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা। মহাখালীতে রেলপথ অবরোধের কারণে অন্যান্য শহরগুলি থেকেও বিচ্ছিন্ন ঢাকা। আগারগাঁওয়েও চলছে ধর্মঘট। বচসা, বিক্ষোভার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে ভাঙচুর চলেছে বলে জানা গিয়েছে বাংলাদেশের সংবাদ সংস্থা সূত্রে।
