মনিরুল হক, কোচবিহার: অসমিয়া গানের জনপ্রিয় মুখ প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গ–এর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবার এগিয়ে এল কোচবিহার পুরসভা। শুক্রবার পুরসভার একটি বিশেষ বৈঠকে জুবিন গর্গের একটি মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোচবিহার রাসমেলার সাংস্কৃতিক মঞ্চের নামও জুবিন গর্গের নামে রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

 

পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, জনপ্রিয় গায়কের শিল্পীসত্তা এবং উত্তরবঙ্গের সঙ্গে তাঁর আবেগময় সম্পর্ককে স্মরণীয় করে রাখতেই এই উদ্যোগ। তিনি বলেন,'আমরা জুবিন গর্গের মূর্তি বসানোর বিষয়ে কয়েকদিন ধরেই আলোচনা করছিলাম। আজকের বিশেষ সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে তাঁর মূর্তি বসানো হবে। তবে শহরের কোন স্থানে মূর্তিটি বসানো হবে, তা পরে নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া রাসমেলার সাংস্কৃতিক মঞ্চও জুবিন গর্গের নামে করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।'

 

প্রায় দু’লক্ষ টাকা ব্যয়ে মূর্তি তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই নবদ্বীপের এক খ্যাতনামা শিল্পীকে মূর্তি তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। কোচবিহার পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের গুরুত্বপূর্ণ কোনও সাংস্কৃতিক এলাকা বা পর্যটনস্থানে মূর্তি বসানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এদিনের বৈঠকে পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত অধিকাংশ কাউন্সিলরই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তাঁদের বক্তব্য, জুবিন গর্গ শুধু অসম নয়, সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষের হৃদয়ের গায়ক। কোচবিহারের মানুষও তাঁকে সমান ভালোবাসেন।

আরও পড়ুন: মৃতদেহের আঙুলের ছাপ নিয়ে দলিল বাগানোর চেষ্টা! অভিনব জালিয়াতি করতে গিয়ে শ্রীঘরে মহিলা

 

পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ভূষণ সিংহ জানান,'২০১৭ সালে আমি নিজে জুবিন গর্গকে কোচবিহারের রাসমেলায় নিয়ে এসেছিলাম। তিনি কোচবিহারকে খুব ভালোবেসেছিলেন। তাই তাঁর স্মৃতিকে সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।' তিনি আরও বলেন,'আমি প্রস্তাব দিয়েছি যে কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের শঙ্করদেবের ধাম–এর কাছে জুবিনের মূর্তি বসানো হোক। সেখান দিয়ে প্রতিদিন অসম থেকে বহু মানুষ যাতায়াত করেন। তারা এই উদ্যোগ দেখে আনন্দিত হবেন।'

আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়ি নয় জ্যান্ত নরক! কিশোরীকে জোর করে বিয়ে দিলেন দাদু, এরপর চলল লাগাতার ধর্ষণ, শিউরে ওঠা ঘটনা এই রাজ্যে

তবে শহরে মূর্তি বসানো নিয়ে কিছু মহলে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, কোনও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নয়, বরং সাংস্কৃতিক বা ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে সেরকম জায়গাতেই মূর্তি বসানো উচিত। তবে পুরসভা স্পষ্ট করেছে—'সবই আলোচনা সাপেক্ষে করা হবে, তাড়াহুড়ো নয়,' বলে জানান চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।