আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মথুরায় পুলিশের জোড়া অভিযানে ফাঁস হল বড়সড় দেহ ব্যবসার চক্র। স্পা ও স্যালোনের আড়ালে গেস্টহাউস থেকে এই অনৈতিক ব্যবসা চলছিল বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোটওয়ালি এবং হাইওয়ে থানার অন্তর্গত দুটি গেস্টহাউসে হানা দিয়ে একাধিক মহিলা উদ্ধার এবং বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দিল্লি-তে গোপন মাদক চক্র ফাঁস! পালিয়েও রেহাই পেলনা অভিযুক্তরা, হাতেনাতে পড়ল ধরা
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই স্পা সার্ভিসের নামে গোপনে পতিতাবৃত্তি চলছিল। অভিযোগ ওঠে, স্থানীয় গেস্ট হাউসগুলির সঙ্গে কিছু স্যালোন ব্যবসায়ী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই বেআইনি কার্যকলাপ চালাচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার কোটওয়ালি থানার অন্তর্গত সোনখ রোডের এক গেস্টহাউসে অভিযান চালিয়ে পাঁচজন মহিলা ও এক গ্রাহককে হাতেনাতে ধরা হয়। ওই গেস্টহাউসের অন্যতম অপারেটর দীপক খান্ডেলওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও জানা গিয়েছে, এই ব্যবসার সঙ্গে দীপকের বাবা রাম মোহন খান্ডেলওয়াল, অংশীদার নীতিন পাচৌরি এবং কপিলও দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দাম কমল লাক্স-লাইফবয় সাবান-ডাভ শ্যাম্পু-কিষাণ জ্যাম-সহ ২২ পণ্যের, ঘোষণা হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের
অন্যদিকে, হাইওয়ে থানার এলাকায় আরও এক গেস্টহাউসে অভিযান চালিয়ে ছয়জন মহিলাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে সেখানে গেস্টহাউস মালিক এবং এক গ্রাহক হট্টগোলের সুযোগে পালিয়ে যায়। তদন্তে উঠে এসেছে, ওই গেস্টহাউসের রিসেপশনিস্ট মহিলা মূলত টাকা লেনদেন সামলাতেন। এই চক্রে নাম জড়িয়েছে থাই ব্লসম স্পা অ্যান্ড স্যালোন-এরও। পুলিশ মনে করছে, এর সঙ্গে জুড়ে থাকা অন্যান্য স্যালোন ও স্পাগুলির কার্যক্রমও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
অভিযান চালানোর সময় বেশ কিছু আপত্তিজনক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। সার্কেল অফিসার অশনা চৌধুরী জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পুলিশ এমন কয়েকটি অবৈধ কেন্দ্র চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। ইতিমধ্যেই দুটি আলাদা অভিযানে মোট ১৫ জন মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দাম কমল লাক্স-লাইফবয় সাবান-ডাভ শ্যাম্পু-কিষাণ জ্যাম-সহ ২২ পণ্যের, ঘোষণা হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের
পুলিশ এখন হাইওয়ের ভরতপুর রোডে অবস্থিত দেব রেসিডেন্সি নামের এক গেস্টহাউসের অপারেটর জিতুর খোঁজ করছে। তদন্তকারীদের মতে, জিতুকে গ্রেপ্তার করা গেলে পুরো চক্রের আরও গভীর তথ্য হাতে আসবে। প্রশাসন জানিয়েছে, শহরের সমস্ত স্পা, স্যালোন এবং গেস্টহাউসের উপর নজরদারি জোরদার করা হচ্ছে, যাতে এ ধরনের বেআইনি কাজকর্ম আর চলতে না পারে।
